বুধবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে টিম ইন্ডিয়া। ভারত ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯৭ রান করে। যার জবাবে নিউজিল্যান্ড মাত্র ৩২৭ রানে অল আউট হয়ে যায়। এই ম্যাচে ১১৩ বলে ১১৭ রান করে ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন বিরাট কোহলি। মহম্মদ শামিও ৫৭ রানে ৭ উইকেট নেন। তাঁর বোলিংয়ের উপর ভর করে কার্যত ম্যাচ জেতে রোহিত শর্মার দল।
ভারতীয় টিম ভালো খেললেই তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে থাকে পাকিস্তানের মানু। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হল না। বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পিচ ও বলে কেরামতির অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেট ভক্তরা। ভারতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বললেন তাঁরা।
পাকিস্তানি ক্রীড়া সাংবাদিক সানা আমজাদ তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে কিছু পাকিস্তানির নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেন। এক পাকিস্তানি ক্রিকেট ভক্ত বলেন,'ভারতের পারফরম্যান্স দেখে এটা পরিষ্কার যে তারা যোগ্য দল হিসেবে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে। ভারতের ব্যাটিং অসাধারণ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এমন ক্রিকেট খেলা কমই দেখা যায়। ভারত বিশ্বকে দেখিয়েছে যে আমরা একটি সিরিজ হারলে সমালোচনার মুখে পড়ি কিন্তু ঘুরেও দাঁড়াতে পারি। আমার মনে হয় ভারত বিশ্বকাপ জিতবে।'
এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনও দলের কাছে হারেনি ভারত। ভারত এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলেছে এবং সবকটি ম্যাচই জিতেছে। পাকিস্তান এই বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়েছে এবং বিশ্বকাপ চলাকালীন ভারতের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করেছে। কখনও পাকিস্তানের প্রাক্তন পাক খেলোয়াড় বলেছেন, ভারত ম্যাচ ফিক্স করছে আবার কখনও অভিযোগ করেছেন বল পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব অভিযোগ নিয়ে ওই ক্রিকেট প্রেমী বলেন,'কেউ এ ধরনের অভিযোগকে পাত্তা দেয় না। পাকিস্তান জেতেনি কারণ দল ভালো খেলেনি। ফিক্সিং দেখার দায়িত্ব তো আলইসিসির। তেমন কিছু হলে তারা দেখতে পেত।'
ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে পাকিস্তানের আরেকজন ক্রিকেট ভক্ত বলেছেন, 'আমি নিশ্চিত ছিলাম যে ভারতীয় দল তার ২০১৯ সালের সেমিফাইনালের প্রতিশোধ নেবে। ভারতীয় দল তার প্রতিশোধ তাই করে দেখিয়েছে। টিম ইন্ডিয়া এখন যে পারফরম্যান্স করেছে তা বিস্ময়কর। নিউজিল্যান্ড খুব পরিশ্রম করেছে, সেমিফাইনালেও পূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আমি মনে করি ভারত একটিও ম্যাচ না হেরে বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস তৈরি করবে।'
পাকিস্তানি ভক্ত আরও বলেছেন, 'আমি চাই অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের ফাইনাল হোক এবং ভারত যেন এই ফাইনাল জিতুক। ভারত সব ম্যাচ দিয়েছে। তারা দেখিয়েছে যে দলটি একটি সেনাবাহিনী...ভারতের একটি আলাদা সেনাবাহিনী রয়েছে। ভারতীয় দলের একজন মুসলিম 'ম্যান অফ দ্য ম্যাচ' হয়েছেন। আজ সারা বিশ্ব শামির কীর্তি দেখেছে। যা শোনা যাচ্ছিল ভারতে মুসলমানদের উপর অত্যাচার হচ্ছে...তারা নিপীড়িত...তাদের উঠতে দেওয়া হয় না। আজ সেই একই ভারত, একই ভারতীয় ক্রিকেট দলের এক মুসলিম ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পেলেন।