বল হাতে তিনি অসাধারণ। ১ বছর পর খেলতে নেমেও তুলে নিয়েছেন চার চারটি উইকেট। শুধু তাই নয়, বাংলা দলকে বের করে এনেছেন বিপদের হাত থেকে। এবার ব্যাট হাতেও নিজের দক্ষতা প্রমাণ করে ফেললেন মহম্মদ শামি। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এল মহা মূল্যবান রান। যার জেরে মধ্যপ্রদেশকে বড় টার্গেট দিল বাংলা দল। বল হাতে দারুণ পারফর্ম করার পর ব্যাট হাতেও ফর্মে থাকা শামিকে কি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দলে নেবেন গৌতম গম্ভীররা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
দুই ভাইয়ের দারুণ জুটি
শেষ উইকেটে ভাই মহম্মদ কাইফকে সঙ্গে নিয়ে শামি জুড়লেন অতি মূল্যবান ৩৯ রান, নিজে করলেন ৩৭। বাংলার ইনিংস শেষ হলো ২৭৬ রানে। শেষ ইনিংসে মধ্যপ্রদেশ এর সামনে টার্গেট ৩৩৮। হাতে রয়েছে আরও একটা দিন। ফলে নিজের তো বটেই বাকি বোলারদের সামনেও দারুণ সুযোগ এনে দিলেন শামি। দেড়দিন বল করে ১০ উইকেট তুলতে পারলেই ৬ পয়েন্ট ঝুলিতে আসবে বাংলার। আর সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দল। পরের রাউন্ডে উঠতে গেলে এই ছয় পয়েন্ট খুবই জরুরি বাংলা দলের জন্য।
কেমন পারফর্ম করলেন শামি?
প্রথম ইনিংসে ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন শামি। তাঁর এই দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে মধ্যপ্রদেশ মাত্র ১৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। রজত পতিদার এবং শুভ্রাংশু সেনাপতি জুটি যখন ক্রিজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল তখন নিজেই অধিনায়কের থেকে বল চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে মধ্যপ্রদেশের অধিনায়ক শুভম শর্মাকে বোল্ড করে নিজের উইকেট নেওয়ার খাতা খোলেন শামি। এরপর শেষের দিকে সারাংশ জৈন (৭), কুমার কার্তিকেয়ন (৯) এবং কুলবন্ত খেজরোলিয়াকে (০) আউট করেন তিনি।
মুগ্ধ লক্ষ্মীরতন
বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই… একজন এক বছর পর ক্রিকেট মাঠে ফিরে এলো তারপর এতগুলো উইকেট নিল, অসাধারণ! ও কোনও রকম ম্যাচের প্রস্তুতি ছাড়া সরাসরি মাঠে নেমেছিল। আপনি ভাবতে পারছেন? তবে অবশ্যই ও যত বেশি ম্যাচ খেলবে তত বেশি ভালো হবে। সে একটা ৬ ওভারের স্পেল করে এবং পরে ৫ ওভারের স্পেল করে, এখন IPL-এর কারণে বেশিরভাগ বোলারই ৪ ওভারের বেশি স্পেল কী ভাবে করতে হয় জানে না। আমি আমার জীবনে এর আগে কোনও ক্রিকেটারকে এতো শক্তিশালী হয়ে প্রত্যাবর্তন করতে দেখিনি। ও আজ যেটা করেছে সেটা কল্পনার বাইরে।’