ভারতের হয়ে ধারাবাহিকভাবে দারুণ বোলিং করার পুরস্কার পেয়ে গেলেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। টিম ইন্ডিয়ার স্পিডস্টার পেলেন অর্জুন পুরস্কার। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে ক্রীড়াক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান পেলেন শামি। এই সম্মান পেয়ে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি গত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
২০২৩ বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন শামি। শুধু বিশ্বকাপে নয়, ধারাবাহিকভাবেই ভাল বল করে যাচ্ছেন তিনি। অর্জুন পুরস্কার পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শামি লেখেন, 'আজ ভীষণ গর্বিত লাগছে। কারণ মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে অর্জুন পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছেন। আমি তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাঁরা আমাকে এই পর্যন্ত পৌঁছতে সাহায্য করেছেন। ধন্যবাদ তাঁদের, যাঁরা সব সময় আমার খারাপ এবং ভাল সময় পাশে থেকেছেন, আমাকে সমর্থন করেছেন। আমার সব কোচ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, সতীর্থদের, পরিবারের সকলকে, ক্রিকেটপ্রেমীদের ধন্যবাদ। সবাই আমার কঠোর পরিশ্রমকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সব সময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি আমার দেশকে গর্বিত করার জন্য। আবার সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অন্য যাঁরা অর্জুন পুরস্কার পেলেন, তাঁদের অভিনন্দন।'
ভারতের ড্রেসিংরুমে জায়গা পাওয়ার লড়াইটা যে তাঁর পক্ষে কতটা কঠিন ছিল সেটা আগেই জানিয়েছেন শামি। পুরস্কার যে তিনি পাচ্ছেন, সে কথা ঘোষনা হওয়ার পরেই মুখ খুলেছিলেন তারকা বোলার। তিনি বলেন, 'আমরোহা থেকে ভারতীয় দলের সাজঘরে পৌঁছনোর যাত্রাপথ ব্যাখ্যা করতে পারব না। ক্রিকেট নিয়ে আবেগ ছিলই। সব সময় দেশের জন্য যতটা সম্ভব ভাল খেলার চেষ্টা করেছি।'
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হওয়ার আগে উত্তরপ্রদেশে যে তাঁকে বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছিল, সে কথাও জানিয়েছেন শামি। উত্তরপ্রদেশে খেলার সুযোগ না পেয়ে, বাংলায় চলে আসতে বাধ্য হন শামি। কলকাতা ময়দানে শুরু হয় তাঁর লড়াই। এরপর দারুণ বোলিং করে জায়গা করে নেন বাংলা দলে। সেখান থেকে আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। রঞ্জি, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ভাল বল করে জায়গা করে নেন ভারতীয় দলে। এরপর যতই সময় এগিয়েছে, ততই ধার বেড়েছে তাঁর বোলিং-এর।
তবে এখন চোটের জন্য ভারতীয় দলের বাইরে রয়েছেন শামি। গোড়ালির চোট তাঁকে বেশ ভোগাচ্ছে। কবে তিনি মাঠে ফিরতে পারবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।