ঢাকা আবাহনীকে৩-১ গোলে হারিয়ে এএফসি কাপের পরের রাউন্ডে চলে গেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। ১৭ মিনিটের মাথায় গোল হজম করে মোহনবাগান। বিশাল কাইতের ভুলের সুযোগ নিয়ে সবুজ-মেরুনের জালে বল জড়ান কর্নেলিয়াস এজেকিয়েল। পিছিয়ে পড়েও দারুণ ভাবে ফিরে আসে মোহনবাগান।
৩৩ মিনিটে গোল কারার সুযোগ এসে গিয়েছিল মোহনবাগানের সামনে। কর্নার থেকে গোল করে ফেলছিল তারা। ৩৬ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে নেয় মোহনবাগান। বক্সের মধ্যে ফাউল করায় কার্ড দেখতে হয় আবাহনীর ত্রীপুরাকে। স্পট কিক থেকে গোল করে যান সমতা ফেরালেন জেসন কামিন্স। এরপরেও প্রথমার্ধেই গোলের সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন বিশ্বকাপার। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে গোল করে এগিয়ে যেতে পারত ঢাকার ক্লাব। তবে তা হয়নি পোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ানোয়। দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ শুরু করে সবুজ-মেরুন। তখনই আসে দুই গোল।
৫৮ মিনিটে মিলাদের সেম সাইড গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। যদিও বুমোসের পাস থেকে নিজেদের গোলেই বল জড়ায় ঢাকা আবাহনি। ৬০ মিনিটে তৃতীয় গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন আর্মান্দো সাদিকু। শেষদিকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন কিয়ান নাসিরি। নয়ত আরও লজ্জার মুখে পড়তে হত ঢাকার ক্লাবকে। যদিও প্রথমে এগিয়ে যাওয়ার পর কিছুটা সময় আক্রমণের ঝাঁজ থাকলেও বাকি সময়টা খেলে গেল মোহনবাগানই।
এএফসি কাপের প্রলিমিনারি কোয়ালিফাইং রাউন্ডে সবুজ-মেরুন শিবির জিতে যায় নেপালের মাছিন্দ্রা এফসির বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় এএফপি কাপের গ্রুপ স্টেজে জায়গা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মোহনবাগান নেমেছিল ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে। গতবার বাংলাদেশের দলটিকে টুর্নামেন্টের ঠিক এই পর্বেই হারিয়েছিল মোহনবাগান। আর এবারও যুবভারতীতে শেষ হাসি হাসল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। দারুণ জয় তুলে নিল তারা। ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে নামার আগে অনেকটা আত্মবিশ্বাস জোগাড় করে নিল সবুজ-মেরুন।