অপ্রতিরোধ্য মোহনবাগান। ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচের পর কলকাতা লিগেও জয়ের ধারা অব্যহত রাখল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ঘরের মাঠে ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ০-২ গোলে হারাল বাস্তব রায়ের ছেলেরা।
ম্যাচে যদিও দাপট বেশি ছিল শ্যামনগরের দলের। গোলের অসংখ্য সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। তার ফলই ভোগ করতে হল ইউনাইটেডকে। তারক হেমব্রম, অ্যালোসিয়াসরা গোলের সামনে এসে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন। পরপর ম্যাচ খেলায় কিছুটা হলেও ক্লান্ত লাগছিল ফরদিন আলি মোল্লা, সুমিত রাঠিদের। রক্ষণেও বেশ কয়েকবার কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে যাচ্ছিল। তবে তার ফয়দা নিতে পারেননি ইউনাইটেড স্পোর্টসের ছেলেরা। গোটা ম্যাচে ২৪টা শট নিলেও একটাও জালে জড়ায়নি। কিছুক্ষেত্রে একেবারে সহজ সুযোগও মিস করতে দেখা গিয়েছে তাদের। অন্যদিকে দু’টি সুযোগ পেয়েই সেখান থেকে কাঙ্খিত গোল তুলে নিয়েছে মোহনবাগান।
যদিও দুই দলের তরুণ ফুটবলাররাই দারুণ খেলেছেন। দিনের শেষে গোলটাই আসল। আর সেই আসল কাজের দুই কারিগর নংডোম্বা নাওরেম ও সুহেল ভাট। ম্যাচের ২৮ মিনিটের মাথায় একেবারে নিজের পরিচিত ঢঙ্গেই গোল করে যান নাওরেম। ডানদিক থেকে উঠে এসে, ইনসাইড কাট করেন দুই ফুটবলারকে আড়াল করে, কাটিয়ে জোরাল শটে জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। এবারের কলকাতা লিগে টালিগঞ্জের বিরুদ্ধে ম্যাচেও একইভাবে গোল করেছিলেন তিনি। প্রথমার্ধে যদিও আর কোনও গোল হয়নি।
সুযোগ পেয়েছিল ইউনাইটেডও। ৩৫ মিনিটে ইউনাইটেডের দীপেশ বড় সুযোগ নষ্ট করেন। দু'দল আক্রমণে গেলেও প্রথমার্ধে ফলাফল থাকে ১-০। দ্বিতীয়ার্ধেও চলতে থাকে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। পাল্টা আক্রমণ চালায় সবুজ-মেরুন। যার ফলে ম্যাচের ৬৮ মিনিটে সুযোগ চলে আসে বাগানের সামনে। প্রতি আক্রমণে উঠে নাওরেম বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেন। কিন্তু নাওরেমের শটটি দুরন্ত ভাবে বাঁচিয়ে দেন ইউনাইটেডের গোলরক্ষক রাজা বর্মণ। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ফাঁকা গোল পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় ইউনাইটেড। বল ধরতে গিয়ে গোল ছেড়ে বের হয়ে আসেন বাগান কিপার আর্শ আনোয়ার। একেবারে ফাঁকা গোল পেয়েও বিজয় বাহাদুর গুরুং গোল মিস করেন। সমতা ফেরাতে মরিয়া ইউনাইটেড বারেবারে সবুজ-মেরুন রক্ষণে হানা দিতে থাকে। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে ইনস্যুরেন্স গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। ২-০ এগিয়ে যায় তারা। দ্বিতীয় গোলটি করেন সুহেল আহমেদ ভাট। প্রায় ১৮ গজ দূর থেকে দুরন্ত শটে গোল কাশ্মীরি ফুটবলারের। সেকেন্ড পোস্টে বল রাখেন সুহেল। আর তাতেই তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে মোহনবাগান।