দীর্ঘ ৩৩ বছর পর মোহনবাগানের নির্বাচনে নেই টুটু বসু ও তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য। দেবাশিস দত্তই হতে চলেছেন মোহনবাগানের পরবর্তী সচিব। সরকারী ভাবে ঘোষণা না হলেও সুত্রের খবর দেবাশিস দত্তের বিরুদ্ধে প্রার্থী রয়েছেন একজন । দুইজন সদস্য প্রার্থী হতে চাইলেও ড্রাফটের মাধ্যমে টাকা জমা না দেওয়ায় একজনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যেতে পারে। বাকি একজনকে 'বুঝিয়ে' মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করতে বলতে পারেন দেবাশিসরা। তিনি রাজি হয়ে গেলে সরকারী ভাবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকবে না। তবে দীর্ঘ দিন ধরে বসু পরিবারের সঙ্গে মোহনবাগানের সম্পর্ক। সচিব থাকার পাশাপাশি টুটু বসু, সৃঞ্জয় বসুরা ক্লাবের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। কী এমন হল যাতে সেই ভূমিকায় আর দেখা যাচ্ছে না তাঁদের? দেবাশিস দত্তের দাবি, ''টুটু বসু আমায় ফোন করেছিলেন, উনি আমাকে তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী বলে মনে করেন। আমাকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন টুটু বাবু।''
১৯৮৯ সালের পর প্রথমবার টুটু বসু বা তাঁর পরিবারের কেউ নেই মোহনবাগানের কোনও কমিটিতে। দেবাশিস বলেন, ''টুটু বসুর মোহনবাগানে কোনও পদ লাগে না। টুটু বসু মোহনবাগানে টুটু বসুই হয়ে থাকবেন। উনিই সব।''
তবে শুধু বসু পরিবার যে প্যানেল থেকে বাদ গিয়েছে এমনটা নয়। বসু পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অনেকেই নেই প্যানেলে। দুই একজন থাকলেও তাঁদের পদের গুরুত্ব হ্রাস করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খুলতে নারাজ। ফুটবল সচিব হচ্ছেন বাবুন বন্দোপাধ্যায়। সহ সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়। উত্তম সাহা কোষাধ্যক্ষ। মহেশ টিকরেওয়াল ক্রিকেট সচিব। মানস ভট্টাচার্য যুব ফুটবল সচিব।
শনিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সেই দিনই মারামারির ঘটনা ঘটে ক্লাবে। আহত হন তিনজন। ভাঙা হয় বিদায়ী সচিব সত্যজিতের গাড়ি। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনজন। ঘটনার সঙ্গে ক্লাবের নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি দেবাশিসের। তিনি বলেন,''সবার সম্মতি নিয়ে মনোনয়ন জমা পড়েছে। এখানে বিবাদের কিছু নেই। এই ঘটনায় ক্লাবের কেউ জড়িত নয়।'' হকি, টেনিসও খেলা শুরু করবে মোহনবাগান ক্লাব। জানিয়েছেন দেবাশিস। তিনি বলেন, ''এবার আমরা হকি, টেনিস সবই খেলব। পুরনো মোহনবাগানকে ফেরানোই লক্ষ্য। সৃঞ্জয় বসুর সঙ্গে আমি এই ক্লাব তাঁবুটা বানিয়েছি। সুন্দর একটা গেট করা হবে।''