মোহনবাগানের (Mohun Bagan) পরবর্তী সচিব কে হতে পারেন? একটা সময় মনে করা হচ্ছিল সৃঞ্জয় বসু সচিব পদ থেকে পদত্যাগের করার পর দেবাশিস দত্তের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেন স্বপন ব্যানার্জী (বাবুন)। নির্বাচনের নোটিশ বেরনোর পরেই বদলে গেল ছবিটা। প্রথম দিকে মোহন অর্থ সচিবের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগই সামনে এনেছিলেন বাবুন। তবে সুভাষ ভৌমিকের স্মরণসভার দিন থেকেই কাছে আসতে শুরু করেন দুইজন। স্মরণ সভাতেও পাশাপাশি বসে অনেক কথা বলতে দেখা যায় বাবুন-দেবাশিসকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দেবাশিস বলেন, ''আমার সঙ্গে বাবুনের কোনও দিনই কোনও সমস্যা ছিল না এখনও নেই। ওঁর দিক থেকে কী রয়েছে সেটা ও বলতে পারবে। মোহনবাগানের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা একসঙ্গে রয়েছি।''
শোনা যাচ্ছে, শনিবারই সচিব পদে নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন দেবাশিস। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কেউ মনোনয়ন দেননি। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে হয়ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জয়ী হতে পারেন দেবাশিস।
মোহনবাগানে ৫ সদস্যের নির্বাচনী বোর্ড গঠন করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়ের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী বোর্ডে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক, প্রাক্তন ফুটবলার শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরেন্দ্র কুমার দত্ত ও সোমা দাস। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আগে পর্যন্ত সচিব পদের সমস্ত দায়িত্ব সামলাবেন ক্লাবের সহ সচিব সত্যজিত্ চট্টোপাধ্যায়। এ দিকে মোহনবাগানের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে এলেন সৌমিক বসু (টুবলাই)। রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াত হওয়ায় সেই পদেই এলেন টুটু বসুর ছোট ছেলে।
শোনা যাচ্ছে, দেবাশিস দত্তকেই সচিব হিসেবে দেখতে চান বাবুন। তবে কেউই এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। ২০১৫ সালে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল মোহনবাগানে। সেই সময় অঞ্জন মিত্র গোষ্ঠীকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে টুটু বসু গোষ্ঠী। সচিব হন সৃঞ্জয়। তবে এবারও ভোট হবে কী? নাকি প্রার্থীই দেবেন না বিরোধীরা? তবে বাবুনের সঙ্গে দেবাশিসের সম্পর্কের উন্নতি হওয়ায় আখেরে লাভ হল মোহনবাগানের বর্তমান অর্থ সচিবের।