ডার্বির (Kolkata Derby) পর কেরলের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জেতার পরেও শুভাশিস বসুদের খেলায় খুশি হতে পারছেন না কোচ আন্তনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) বিরুদ্ধে দলের দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় খুশি হতে পারেননি মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giants) কোচ হাবাস। কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচে সুযোগ নষ্টের জন্য খুশি হতে পারছেন না হাবাস। যে ভাবে কেরলের বিরুদ্ধে সুযোগ নষ্ট করেছেন জেসন কামিংস, আর্মান্দো সাদিকুরা, তা খুশি করতে পারেনি হাবাসকে। তাঁর মতে, অন্তত সাত গোল দেওয়া উচিত ছিল। তিন গোল খাওয়া নিয়েও খুশি নন তিনি।
এবারের আইএসএল-এ টানা আটটি ম্যাচ জয় পেয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। ম্যাচের পর হাবাস বলেছেন, 'আমাদের আরও তিন গোল করা উচিত ছিল। জেসন কামিন্স, লিস্টন কোলাসো গোলের ভাল সুযোগ পেয়েছিল। পাশাপাশি আমরা যখন একটানা আক্রমণে ওঠার সময় রক্ষণে অনেক ফাঁকা জায়গা থেকে যাচ্ছিল। প্রতিপক্ষ কাজে লাগাতেই পারত। ছেলেদের বলব, ভবিষ্যতে বিপক্ষকে ফাঁকা জায়গা না দেওয়ার চেষ্টা করতে।' তবে এই ম্যাচে গোল না খেলে আরও ভাল হত বলেই মনে করছেন হাবাস। হাবাস বলেছেন, 'কেরল ম্যাচ কঠিন হবে জানতাম। উল্টো দিকে একটা ভাল দল। সমর্থকদের প্রচণ্ড চিৎকার। তার উপর, তিন দিন আগেই ডার্বি খেলে লম্বা সফর করে এখানে এসেছি। এই অবস্থায় এ রকম একটা ম্যাচ খেলা মোটেই সোজা ছিল না। আমাদের গোলপার্থক্য ভাল আছে ঠিকই। তবু আজকের ম্যাচটা ৪-০ জিততে চেয়েছিলাম। তবে তিন পয়েন্ট পাওয়াটাও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।'
তবে জোড়া গোল করা সাদিকুকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত হাবাস। তিনি বলেন, 'সাদিকু খুবই ভাল খেলোয়াড়। ওর সঙ্গে দিমিত্রি, জেসনকে একসঙ্গে খেলাতে পারলে ভালই হত। সেই উপায় নেই। তাই ওদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাচ্ছি যাতে প্রত্যেকে সমান সময় পায়। কাজটা মোটেই সোজা নয়।'
বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচের জন্য আট ফুটবলারকে ছাড়তে হবে মোহনবাগানকে। হাবাস বলেন, 'জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় ছাড়তেই হবে। এটা বাধ্যতামূলক। ভারতীয় দলের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল। আমাদের খেলোয়াড়রা ভারতীয় শিবির থেকে ফেরার পর শারীরিক অবস্থা যাচাই করে দেখতে হবে। তার উপর ভিত্তি করে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ওদের খেলাতে হবে। এ ছাড়া কোনও উপায় নেই।'