যুবভারতীতে মঙ্গলবার ঢাকা আবাহনীকে এএফসি কাপে হারিয়ে মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে সবুজ-মেরুন। এবার গ্রুপ পর্বে তাদের প্রতিপক্ষ বেশ সহজ। যে গ্রুপে ভারতের আরও একটি ক্লাব, বাংলাদেশের একটি ক্লাব এবং মলদ্বীপের একটি ক্লাবও আছে।
গ্রুপ পর্যায় থেকে ধাপে-ধাপে ফাইনালে উঠতে হবে। ফাইনালে জিতলে এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে মোহনবাগান। গ্রুপ পর্যায়ে মোহনবাগান কোন কোন দলের বিরুদ্ধে খেলবে এবং এএফসি কাপের ফাইনালে উঠবে, গ্রুপ পর্বে মোহনবাগানের সঙ্গে থাকতে পারে ওড়িশা এফসি, মালদ্বীপের মাজিয়া এফসি, বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস। ২০২৩-২৪ সালের এএফসি কাপে মোট ৩৬টি দল অংশগ্রহণ করবে। ন’টি জোনে ভাগ করে গ্রুপ তৈরি করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে চারটি করে দল থাকবে। সরাসরি গ্রুপ পর্যায়ের টিকিট পাবে ২৯টি ক্লাব প্রিলিমিনারি এবং প্লে-অফ পর্যায়ের মাধ্যমে বাকি সাতটি ক্লাব মূলপর্বে যোগ দেবে।
কীভাবে ফাইনালে যেতে পারে মোহনবাগান?
পরবর্তী পর্যায়ে যেতে গেলে মোহনবাগানকে গ্রুপ 'ডি'-র শীর্ষে থাকতে হবে। তাহলে ইন্টার-জোনাল সেমিফাইনালের টিকিট মিলবে। যে পর্যায়ে গ্রুপ 'ই' এবং গ্রুপ 'আই'-র শীর্ষে থাকা দল উঠবে। সঙ্গে আসিয়ান জোনের জয়ী দল সেমিফাইনালের টিকিট পাবে। দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচের জন্য ড্র হবে। তারপর ইন্টার-জোনাল সেমিফাইনালে যে দুটি দল জিতবে, সেই দুটি দল ইন্টার-জোনাল ফাইনালে খেলবে। সেই ফাইনালের জয়ী দল এএফসি কাপের ফাইনালের টিকিট পাবে। ফাইনালে খেলবে ওয়েস্ট জোনাল ফাইনালের জয়ী দলের সঙ্গে। যে ম্যাচটি হবে ২০২৪ সালের ৫ মে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পিছিয়ে পড়েও বাংলাদেশের ক্লাবকে হারিয়ে দেয় মোহনবাগান। ১৭ মিনিটের মাথায় গোল হজম করে মোহনবাগান। বিশাল কাইতের ভুলের সুযোগ নিয়ে সবুজ-মেরুনের জালে বল জড়ান কর্নেলিয়াস এজেকিয়েল। পিছিয়ে পড়েও দারুণ ভাবে ফিরে আসে মোহনবাগান।
৩৩ মিনিটে গোল কারার সুযোগ এসে গিয়েছিল মোহনবাগানের সামনে। কর্নার থেকে গোল করে ফেলছিল তারা। ৩৬ মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে নেয় মোহনবাগান। বক্সের মধ্যে ফাউল করায় কার্ড দেখতে হয় আবাহনীর ত্রীপুরাকে। স্পট কিক থেকে গোল করে যান সমতা ফেরালেন জেসন কামিন্স। এরপরেও প্রথমার্ধেই গোলের সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন বিশ্বকাপার। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে গোল করে এগিয়ে যেতে পারত ঢাকার ক্লাব। তবে তা হয়নি পোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ানোয়। দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ শুরু করে সবুজ-মেরুন। তখনই আসে দুই গোল।