ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হল মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে। শেষদিকে একাধিক সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল সবুজ-মেরুন শিবিরকে। ফলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর প্রথম ম্যাচে তাজাকিস্তানের রাভশান ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল মোহনবাগানকে।
শুরু থেকেই নিজেদের পায়ে বল রেখে, আক্রমণ গড়ার চেষ্টা করতে থাকে মোহনবাগান। তবে রাভশান ডিফেন্স আগাগোড়াই বেশ সতর্ক ছিল। ফলে মিডফিল্ডের বাইরে বল বের করতে পারছিলেন না সবুজ-মেরুন মিডফিল্ডাররা। একই অবস্থায় মধ্যে পড়তে হয়েছিল তাজিকিস্তানের ক্লাবকে। ফলে গোটা ম্যাচেই ডিফেন্স ও মিডফিল্ডের মধ্যেই বল ঘোরাফেরা করতে থাকে।
২৬ মিনিটে নাজারভের ফ্রি কিক অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। ২৭ মিনিটে রহিমভ গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। শুভাশিস সামনে থাকলেও তাঁকে শট নেওয়া থেকে রুখতে পারেননি। বিশাল সঠিক সময় সেভ না করলে গোল খেতে পারত মোহনবাগান । প্রথম প্রচেষ্টায় ধরতে না পারলেও দ্বিতীয় চেষ্টায় বল দখলে নেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ আক্রমণ তুলে এনেছিল রাকিমভের শট কোনওমতে বাঁচান মোহনবাগান ডিফেন্ডাররা। ৭০ মিনিটে ভাল জায়গায় ফ্রি কিক পেয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। তবে শট বাইরে মারেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ৭৬ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। এটাই সম্ভবত সেরা সুযোগ ছিল ম্যাচের তবে জেসন কামিন্স তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। নাজারভের ভুলের সুযোগ নিয়ে থ্রু বল পেয়ে যান কামিন্স। একা গোলকিপারকে পেয়েও শট তাঁর হাতেই মারেন অজি বিশ্বকাপার। ম্যাচের একেবারে শেষদিকে সালিক ইষার দূর থেকে নেওয়া জোরাল শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। পরিবর্ত হিসেবে নাআ লিস্টন কোলাসোও ভাল সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। স্টুয়ার্টের থ্রু বল থেকে গোল করার পেলেও তাঁর শট বাইরে যায়।
গোল করে ফেলেছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। তবে অফ সাইডের কারণে তা বাতিল হয়। সহকারি রেফারির সিদ্ধান্তে খুশি না হলেও, রিপ্লেতে দেখা যায়, বেশ কয়েকহাত অফ সাইডে ছিলেন তিনি। বল ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে এলেও, বল ব্লক করতে চেয়েছিলেন রাভশান ডিফেন্ডার। সেই কারণেই পেত্রাতোসের আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি।
ঘরের মাঠে গোল না পেয়ে গ্রেগ স্টুয়ার্ট, অভিষেক সূর্যবংশীকে নামিয়েও লাভ হয়নি।