ফুটবলের লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে অনেকটাই পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল। তবে এবার অ্যাথলেটিক্সে ফলফাফল হল একেবারে উল্টো। সবুজ-মেরুনকে হারিয়ে রাজ্য অ্যাথলেটিক্সে চ্যাম্পিয়ন হল লাল-হলুদ। কলকাতার সাই কমপ্লেক্সে রাজ্য অ্যাথলেটিক্সের রবিবার ছিল শেষদিন। তাতে সবমিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টবেঙ্গলের সংগ্রহে ৬৮৯ পয়েন্ট। রানার্স মোহনবাগানের পয়েন্ট ৫১০। অর্থাৎ অনেকটাই এগিয়ে থেকে সেরার শিরোপা পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পুরুষদের অনূর্ধ্ব ১৮, অনূর্ধ্ব ২০, অনূর্ধ্ব ২৩ ও সিনিয়র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল। পাশাপাশি মহিলাদের অনুর্ধ্ব ১৮, অনূর্ধ্ব ২০ ও অনূর্ধ্ব ২৩ বিভাগেও সেরা হন তারা।
তবে মহিলাদের সিনিয়র বিভাগে ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিয়ে চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। এছাড়া ছেলেদের ও মেয়েদের অনুর্ধ ১৬ বিভাগে সেরা হয়েছে জলপাইগুড়ি। ছেলেদের অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে বর্ধমান ও মেয়েদের এই বিভাগে নদিয়া শীর্ষে শেষ করে। এদিন পুরুষদের অনূর্ধ্ব ২৩ ডিসকাস প্রো-য়ে ৪১.৪৫ মিটার জুড়ে রাজ্য রেকর্ড গড়েন সায়ন চ্যাটার্জি। একই বয়সভিত্তিক বিভাগের ১৫০০ মিটার দৌড়ে রেকর্ড মহম্মদ ফাহিমের (৩:৫৯:৯ মিনিট)। দুজনই ইস্টবেঙ্গলের অ্যাথলিট। পুরুষদের অনূর্ধ্ব ২০ বিভাগে ১০০ মিটারে ১০.৫ সেকেন্ডে দৌড়ে নতুন রেকর্ডের মালিক মোহনবাগানের তিপন দাস। এদিন সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, ক্রীড়া সংগঠক অজিত ব্যানার্জি প্রমুখ।
জুনিয়র বালক ও বালিকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাপ্ত পয়েন্ট- ১৫৯, দ্বিতীয় মোহনবাগান এসি'র প্রাপ্ত পয়েন্ট -১১০। সিনিয়র বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাপ্ত পয়েন্ট- ৫৩০, দ্বিতীয় মোহনবাগান এসি'র প্রাপ্ত পয়েন্ট -৩০০। সব মিলিয়ে (জুনিয়র ও সিনিয়র) চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাপ্ত পয়েন্ট -৬৮৯, দ্বিতীয় মোহনবাগান এসি'র প্রাপ্ত পয়েন্ট - ৪১০।
দুই প্রধানের জার্সিতে জেলা থেকে উঠে আসা অ্যাথলিটদের জন্য সামান্য অর্থের চুক্তি, বিস্ময়কর। অথচ দুই প্রধানের অ্যাথলেটিক্সের আলাদা বিভাগ রয়েছে। নতুন প্রতিভা তৃণমূল স্তর থেকে খুঁজে নিয়ে এসে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু তাদের আর্থিক নিরাপত্তা আরেকটু ভালো হলে সুবিধা হয়, মানছেন সকলেই।