ওড়িশার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ২-১ গোলে হেরে চাপে পড়ে গেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। শুরুতে এগিয়ে গেলেও, ২ গোল খেয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ে গেল মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের পক্ষে আরও খারাপ খবর, সাদিকুর লাল কার্ড দেখা। ফিরতি লেগের ম্যাচেও তাঁকে খেলতে দেখা যাবে না।
তবে লাল কার্ড দেখেছেন ওড়িশার দেলগার্ডোও। তাঁকেও কলকাতায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে দেখা যাবে না। নতুন করে দুই দলকেই রণনীতি সাজাতে হবে। প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে শুরু করেন রয় কৃষ্ণ, প্রিন্সটনেরা। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াই ছিল ওড়িশার ফুটবলারদের প্রাথমিক লক্ষ্য। তার আগেই অবশ্য মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন মনবীর সিংহ। ম্যাটের ৩ মিনিটে বাঁদিক থেকে আসা কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন মনবীর।
জবাব দিতে দেরি করেনি ওড়িশা। ১১ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় ওড়িশা। জুয়ানের নেওয়া কর্নার থেকে মোহনবাগান বক্সে বল পেয়ে যান ফাঁকায় দাঁড়ানো কার্লোস ডেলগাডো। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। ওড়িশার একের পর এক আক্রমণের সামনে কিছুটা চাপে পড়ে যায় মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে বল দখল করতে পারছিলেন না।
২২ মিনিটে জনি কাউকো সুযোগ নষ্ট করার পর, ২৪ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসেরা গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন। পেত্রাতোসের দুরন্ত শট আটকে দেন ওড়িশা গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংহ। ৩৯ মিনিটে ওড়িশার হয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন কৃষ্ণ। এই গোলে ওড়িশার স্ট্রাইকারের কৃতিত্ব অস্বীকার না করলেও দায় এড়াতে পারে না মোহনবাগান রক্ষণ। মোহনবাগান ফুটবলারদের ভুলেই বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান কৃষ্ণ। গোলরক্ষক কাইতও আগে ভাগে গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসে কৃষ্ণর কাজ সহজ করে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে যায় ওড়িশা। মূলত প্রতিআক্রমণমূলক ফুটবল খেলতে শুরু করেন লোবেরার ছেলেরা। সেই সময়ই মাথা গরম করে লাল কার্ড দেখেন সাদিকু। আবার ৭৪ মিনিটে ডেলগাডো বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগালে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ফলে দু’দলই ১০ জনে হয়ে যায়। তবে তাতেও গোল করতে পারেনি মোহনবাগান।
কলকাতায় দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ২ গোলে জিততে পারলে ফাইনালে পৌঁছে যাবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট।