রাজস্থানের বিকানেরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। জিমে পাওয়ারলিফটিং অনুশীলন করতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল জাতীয় খেলোয়াড় যষ্টিকা আচার্যর। ১৭ বছরের যষ্টিকা ২৭০ কেজি ওজন তুলেছিলেন। এ সময় হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে হাত পিছলে রডটি ঘাড়ে পড়ে যায়। তাতেই যষ্টিকার ঘাড় ভেঙে যায়। দুর্ঘটনার পর যষ্টিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
রাজস্থানের বিকানেরের নথুসার গেটের বড় গণেশ মন্দিরের কাছে পাওয়ার হেক্টর জিমে অনুশীলন করছিলেন যষ্টিকা। তিনি ২৭০ কেজি ওজনের রড তুলেছিলেন। অন্য খেলোয়াড়রা জানান, যথারীতি কোচের উপস্থিতিতেই অনুশীলন করছিল যষ্টিকা। অনুশীলনের সময়, হাত পিছলে যাওয়ার কারণে, তিনি হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং ২৭০ কেজি ওজনের একটি রড যষ্টিকার ঘাড়ে পড়ে যায়। জোরাল ধাক্কায় পেছনে দাঁড়ানো কোচও পেছনে পড়ে যান। দুর্ঘটনার পর অজ্ঞান হয়ে পড়েন যষ্টিকা। তাঁকে জিমেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত খেলোয়াড়রা তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সেখানে উপস্থিত খেলোয়াড়রা জানান, প্রশিক্ষক যষ্টিকাকে অনুশীলন করাচ্ছিলেন। তিন পর্যন্ত গোনার পরেই ওজন তুলতে বলেন যষ্টিকাকে। যষ্টিকা ২৭০ কেজির ওজন তোলেন, কিন্তু হঠাৎ তাঁর হাত পিছলে গিয়ে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। পুরো ওজন তাঁর ঘাড়ে পড়ে। যষ্টিকা তা সামলাতে পারেননি। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিছুদিন আগে গোয়ায় অনুষ্ঠিত ৩৩তম জাতীয় বেঞ্চ প্রেস চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা ও রুপো, জোড়া পদক জিতেছিলেন যষ্টিকা। তাঁর বাবা ঐশ্বরিয়া আচার্য (৫০) একজন ঠিকাদার। যষ্টিকার মৃত্যুর পর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তাই এ ব্যাপারে কোনও এফআইআর রুজু করা হয়নি। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে।