ভারতের গর্ব নীরজ চোপড়া এখন অলিম্পিক (Tokyo Olympics) চ্যাম্পিয়ন! ২৩ বছর বয়সী শনিবার ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন জ্যাভলিন থ্রো-তে। কারণ তিনি টোকিও ২০২০ সালে পুরুষদের জ্যাভেলিন থ্রো ফাইনাল স্বর্ণপদক জিতে ব্যক্তিগত অলিম্পিক সোনা জেতার একমাত্র দ্বিতীয় ভারতীয় হয়েছেন। জ্যাভেলিন ফাইনালে প্রথম থেকেই দারুণ পারফর্ম করেন নীরাজ। আর সেখান থেকেই পদক নিশ্চিত করেন ভারত ও হরিয়ানার ছেলে। ১২১ বছরে এই প্রথম ভারতের হয়ে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে গোল্ড জয় করলেন নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। একই সঙ্গে পোডিয়াম ফিনিশ করলেন ১২১ বছরে ভারতের হয়ে এই প্রথম।
নীরজ চোপড়া তার প্রথম নিক্ষেপে ৮৭.০৩ মিটার জ্যাভলিন নিক্ষেপ করেন এবং ৮৭.৫৮ মিটার দিয়ে ভালো করেন কিন্তু আর এগোতে পারেননি তবে নিজের ব্যক্তিগত সেরা থাকায় তিনি সোনা জয় করলেন প্রথম দুই রাউন্ডের ফলেই। চোপড়া ৮৭.০৩ মিটার, ৮৭.৫৮ মিটার, ৭৬.৭৯ মিটার এবং ৮৪.২৪ চারটি বৈধ নিক্ষেপ করতে সক্ষম হন এবং তার চতুর্থ ও পঞ্চম নিক্ষেপ অযোগ্য ঘোষণা করা হয়, কিন্তু সেই সব কিছুই নয়, প্রথম দিকেই সোনা নিশ্চিত করে ফেলেন ভারতের নীরজ। কিন্তু তার দ্বিতীয় নিক্ষেপটি বাকিদের চেয়ে অনেক ভালো এবং ভারতের জন্য সোনা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট।
এয়ার রাইফেল শুটিং ইভেন্টে শীর্ষ পুরস্কার অর্জনকারী অভিনব বিন্দ্রার পরে নীরজ চোপড়ার স্বর্ণপদক ভারতের জন্য শেষ ১৩ বছরে দ্বিতীয়। ১৩ বছর পর ভারতের হয়ে অলিম্পিকে সোনা জিতলেন নীরজ। শুধু তাই নয়, নিজে সোনা জয় করে ইতিহাসের পাতায় নাম তোলার পাশাপাশি ভারতের নামও ইতিহাসের পাতায় তুলেছেন তিনি। কারণ এই প্রথম সর্বোচ্চ পদক ৭টি পদক জয় করেছে ভারত অলিম্পিকের আঙ্গিনায়।
নীরজ জ্যাভেলিন ফাইনালে আধিপত্য বিস্তার করেন ঠিক যেমনটি তিনি যোগ্যতা রাউন্ডে করেছিলেন। সেখানে নিজের সেরাটা দিয়েছিলেন নীরজ। অলিম্পিকে এই গোল্ডেরই অপেক্ষা ছিল ভারতের।
১৯০০ সালে নর্মান প্রিচার্ড ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে দুটি রুপোর পদক জিতেছিলেন, তাই কোনও ভারতীয় ক্রীড়াবিদ অলিম্পিকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে পডিয়ামে শেষ করেননি তারপর। কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ মিলখা সিং এবং পিটি ঊষা যথাক্রমে ১৯৬০ এবং ১৯৮৪ সালে কাছাকাছি গিয়েও পদক জেতেননি, কেবলমাত্র চতুর্থ স্থানের সমাপ্তির সাথে শেষ করেছিলেন তাঁরা।
নীরজ সবার প্রত্যাশাকে নষ্ট হতে দেননি। ভারতীয় সেনার সুবেদার নীরজ চোপড়া নিজের অন্যতম সেরাটি দিয়ে দেশকে সবার ওপরে রেখে এবার সোনা এনে দিলেন ভারতে। এই অলিম্পিয়ান ইতিহাসের পাতায় ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়ে ফেলেছেন।