ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে থাকছে না এক্সট্রা টাইম। নক আউট পর্বের খেলা হলেও, দুই দলের ৯০ মিনিটের ম্যাচ অমিমাংসিত থাকলে সরাসরি টাইব্রেকারে গড়াবে ম্যাচ। এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ডুরান্ড কমিটির পক্ষ থেকে।
ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কোন দল কাদের বিরুদ্ধে খেলবে তা এখনও ঠিক হয়নি। মঙ্গলবার লটারির মাধ্যমে তা ঠিক করা হবে। তবে ডুরান্ড কাপে এমন পদক্ষেপ যে একেবারেই অভিনব তা বলাই যায়।
শুরুতে মনে করা হয়েছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি যাতে হয়, সেই কারণেই হয়ত এমন পদক্ষেপ নিতে চলেছেন ডুরান্ড আয়োজকরা। তবে সূত্রের খবর, দুই প্রধানকে একই পটে রাখা হয়েছে। ফলে আরও একবার ডার্বি হতেই পারে।কলকাতার দুই প্রধান মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ও ইমামি ইস্টবেঙ্গল কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেলেও, অল্পের জন্য পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি মহামেডান স্পোর্টিং। এক গোলের জন্য লক্ষ্যপূরণ হয়নি সাদা-কালো ব্রিগেডের।
পট ১-এ রয়েছে চারটি দল। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের পাশাপাশি রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি ও গোকুলাম কেরল এফসি। অপর পটে রয়েছে আরও চারটি দল। পট ২ তে রয়েছে এফসি গোয়া, নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি, চেন্নাইয়েন এফসি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ২ গোলে এগিয়ে থেকেও ড্র করার ফলে কাজটা কিছুটা কঠিন করে ফেলেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। যদিও এরপর দারুণ ভাবে ফিরে আসে কার্লস কুয়াদ্রাতের দল। ডার্বিতে কঠিন প্রতিপক্ষ মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে নন্দাকুমারের গোলে হারায় লাল-হলুদ। গ্ৰুপের শেষ ম্যাচে পঞ্জাব এফসিকে ২ গোলে হারিয়ে নক আউট নিশ্চিত করে তারা।
অন্যদিকে মোহনবাগান প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আর্মিকে হারানোর পর পঞ্জাব এফসিকেও হারায় জুয়ান ফেরান্দ ছেলেরা। তবে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হারের ফলে ছন্দ কিছুটা কেটে যায়। শেষ অবধি মহামেডানের ওপর নির্ভর করছিল মোহনবাগানের ভাগ্য। তারা জামশেদপুর এফসিকে সাত গোলে হারাতে না পারায় কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে সবুজ-মেরুন।