ফের হার ইস্টবেঙ্গলের। মরসুমের দ্রুততম গোল করেও ফের দুই গোল খেয়ে হারতে হল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলকে। প্রথম মিনিটেই পিভি বিষ্ণুর গোলে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। ওড়িশার রক্ষণকে বোকা বানিয়ে গোল করেন বিষ্ণু। তবে সেই গোল ধরে রাখতে না পেরেই হারতে হল লাল-হলুদকে, ২-১ গোলে।
বিষ্ণু মাত্র ৩২ সেকেন্ডে জাল খুঁজে পেয়েছেন। বিষ্ণু একটি থ্রো-ইন গ্রহণ করেন এবং একটি দারুণ দৌড় নেয়। তিনি ওড়িশার তিনজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বক্সের ভিতর চলে যান এবং অমরিন্দরকে বোকা বানিয়ে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে তিন ফুটবলারকে কাটিয়ে গোল করে যান তরুণ বিষ্ণু। তাঁর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে গোল খেয়েই চাপ বাড়াতে শুরু করে সের্জিও লোবেরার দল। ওড়িশার নরেন্দ্র গেহলট, ইশাক রালতে বারেবারে আক্রমণ করতে থাকেন। তবে গোলের দরজা খোলেনি।
৩৮ মিনিটে যদিও সমতা ফেরায় ওড়িশা। পেনাল্টি থেকে গোল করে যান দিয়েগো মরিসিও। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে তাঁকে ফাউল করে ফেলে দেন মহম্মদ রাকিপ। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে এই পেনাল্টির বিরুদ্ধে আবেদন করা হলেও তা স্বাভাবিক ভাবেই শোনেননি রেফারি। প্রভসুকান গিল ঠিক দিকে ঝাঁপালেও শটের জোর এতটাই ছিল যে বল জালে ঢুকে যায়। গোল খেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে তিন ফুটবলার পরিবর্তন করে ইস্টবেঙ্গঅল। তবে তাতেও লাভ হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে আরও এক গোল খেয়ে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ে লাল-হলুদ।
জাহু কর্ণার করেন। সেখানে তিনি প্রথম পোস্টে নীচু বল রাখেন এবং প্রিন্সটন বলের কাছে পৌঁছে যান। সেখান থেকেই ম্যাচের ৬১ মিনিটে ফল ২-১ করে ওড়িশা। এরপর থেকে আর গোলের মুখ খুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তবে গোল খাওয়ার পরে ইস্টবেঙ্গল জেভাবে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শুরু করেন ক্লেইটন সিলভারা। তা দেখে অনেক সমর্থকই বলতে পারেন, ম্যাচের শুরু থেকে কেন এভাবে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটছে না ইস্টবেঙ্গল।