বুধবার দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেছেন কুস্তিগীররা। প্রায় ৩০ জন কুস্তিগীর, যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় কুস্তিগীরদের পরাজিত করেছেন, তাঁরা প্রতিবাদ করতে জড়ো হয়েছেন। প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের চোখে জল, মুখে বিরক্তি। কুস্তিগীররা রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। কুস্তিগীরদের মধ্যে অলিম্পিক পদক বিজয়ী বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট, সরিতা মোর এবং সুমিত মালিকের মতো বড় নাম রয়েছে।
অন্যদিকে, ব্রিজভূষণ শরণ বলেছেন, কুস্তিগীরদের অভিযোগ সত্যি হলে তারা ফাঁসিতে ঝুলতে প্রস্তুত।
বিষয়টিতে ক্রীড়া মন্ত্রক রেসলিং ফেডারেশনকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগের জবাব দিতে বলেছে। মন্ত্রক বলেছে, বিষয়টি ক্রীড়াবিদদের কল্যাণের সঙ্গে জড়িত, তাই মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ১৮ জানুয়ারি থেকে লখনউতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মহিলা জাতীয় কুস্তি শিবিরও বাতিল করেছে মন্ত্রক।দিল্লি মহিলা কমিশনও এই বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিয়েছে।
বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাট, আসু মালিক, সাক্ষী মালিক, সত্যব্রত কাদিয়ান, আখেরি পাঙ্গল, রবি দাহিয়া, দীপক পুনিয়া, সঙ্গীতা ফোগাট সরিতা মোর, সোনম মালিক, মহাবীর ফোগাট, কুলদীপ মালিক সহ প্রায় ৩০ কুস্তিগীর ধর্নায় বসেছেন।
ভারতের জন্য বহু পদক এনে দেওয়া ভিনেশ ফোগাটের চোখে এদিন জল দেখা যায়। তিনি জানিয়েছেন, তিনি ছাড়াও আরও কিছু মহিলা কুস্তিগীর ব্রজভূষণ শরণ সিং এবং তাঁর লোকজনের হয়রানির শিকার হয়েছেন। তবে, তিনি বলেছেন যে, তিনি নিজে যৌন হয়রানির শিকার হননি। তিনি বলেন, মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হয়রানির প্রায় ১০-২০টি ঘটনা আমি জানি। নাম নিতে পারব না। অনেক কোচ এবং রেফারি আছেন, যারা এসব করছেন। হাইকোর্ট আমাদের নির্দেশ দিলে আমরা সব প্রমাণ উপস্থাপন করব। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সমস্ত প্রমাণ হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্না চালিয়ে যাব। কোনোও ক্রীড়াবিদ কোনোও ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবে না।
বজরং পুনিয়ার মতো অলিম্পিক পদকজয়ী যেমন লিখেছেন, ‘দেশের হয়ে পদক জেতার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন ক্রীড়াবিদরা। কিন্তু আমাদের মতো খেলোয়াড়দের নিচে টেনে নামাচ্ছে ফেডারেশন। তারা সমর্থন তো করছেই না, উপরন্তু আমাদের অপমান করছে। আমাদের মেয়েরাও সুরক্ষিত নয়।’
আরও পড়ুন-'WFI প্রেসিডেন্ট মেয়েদের যৌন নির্যাতন করেন,' বিস্ফোরক ভিনেশ ফোগট