আইপিএল-এ (IPL) ফের ডিআরএস (DRS) বিতর্ক। কলকাতা নাইট রাইডার্সের (KKR) সঙ্গে সান রাইজার্সের (SRH) ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নামে কলকাতা। টি নটরাজনের বলে লেগ বিফোর হন রিঙ্কু সিং। সোজা বল তাঁর প্যাডে লাগে। তবে তার আগে বল ব্যাটে লেগেছিল কি না সেই বিষয় সন্দেহে ছিলেন আম্পায়ার অনিল চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত নটরাজনের জোরাল আবেদনে সাড়া দেন তিনি। ১৫ সেকেন্ড সময় ছিল রিঙ্কুর কাছে। উল্টোদিকে তখন ছিলেন স্যাম বিলিংস। শেষ মুহূর্তে তিনি রিঙ্কুকে ডিআরএস নিতে বলেন। তবে রিঙ্কু ভেবেছিলেন আম্পায়ার বিলিংসের ইশারাতেই ডিআরএস দিয়েছেন।
নিয়ম কী
ফিল্ডিং করা দলের ক্ষেত্রে ডিআরএস নিতে গেলে অধিনায়ককেই আবেদন করতে হয়। আর ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাটারকেই সিদ্ধান্ত জানাতে হয় আম্পায়ারকে। নন স্ট্রাইকার হিসেবে থাকা ব্যাটার এই বিষয় সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন না। এক্ষেত্রে ঠিক সেটাই হয়েছিল। বিলিংস ডিআরএস নেওয়ার কথা জানালেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিঙ্কু জানাননি। সেই জন্যই ডিআরএস দেওয়া হয়নি। এরপরে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন রিঙ্কু ও বিলিংস। তবুও তাঁদের সিদ্ধান্ত বদল হয়নি।
ডিআরএস নিলেও আউট হতেন রিঙ্কু
ডিআরএস নিলেও লাভ হত না কলকাতার। বলা ভাল, তাতে ক্ষতিই হত কেকেআর-এর। একটা ডিআরএস নষ্ট হত তাদের। কারণ পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ব্যাটে লাগেনি। ব্যাট মাটিতে লাগায় আওয়াজ হয়েছিল। বল একেবারে সোজা ছিল। মাঝে পড়ে সোজা উইকেটে গিয়ে লাগছিল। তাই থার্ড আম্পায়ারও রিঙ্কুকে আউটই দিতেন।
২০ ওভারে ১৫৭ রান করে কেকেআর
২৮ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন আন্দ্রে রাসেল। ব্যাট হাতে ফের ব্যর্থ ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ২৪ বলে ২৮ রান করে আউট হন অজিঙ্কা রাহানে। ১৬ বলে ২৬ রান করে আউট হন নিতিশ রানা। ব্যর্থ শ্রেয়াস আইয়ারও। ৯ বলে ১৫ রান করে আউট হন কেকেআর অধিনায়ক। একটা সময় ৯৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল কলকাতা। একাই ৩ উইকেট নিয়ে কলকাতার মিডল অর্ডার ভেঙে দেন উমরান মালিক। সেই জায়গা থেকে দলকে টেনে তোলেন আন্দ্রে রাসেল ও স্যাম বিলিংস। ৬৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তিলেন তাঁরা। ২৯ বলে ৩৪ রান করে আউট হন বিলিংস।