শুক্রবার সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) তারকা ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত (Rishabh Pant)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। বর্তমানে দেরাদুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ভারতের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ঋষভ পন্তকে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আইসিইউ থেকে বের করে প্রাইভেট ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
প্রাইভেট ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হল পন্তকে
দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (DCDA) ডিরেক্টর শ্যাম শর্মা ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, "পন্ত সুস্থ হয়ে উঠছেন। সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে দেখে ঋষভ পন্তকে একটি ব্যক্তিগত কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা গতকাল সন্ধ্যায় পন্তকে একটি প্রাইভেট ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করেছেন যাতে সংক্রমণের কোনও সম্ভাবনা না থাকে।''
লিগামেন্টের চিকিৎসা করাবে বিসিসিআই
শ্যাম শর্মা আরও বলেন, বিসিসিআই পন্থের লিগামেন্টের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করবে। বিসিসিআই এক বিবৃতিতে বলেছে, 'পন্তের কপালে দুই জায়গায় কাটা রয়েছে। তাঁর ডান হাঁটুতে একটি লিগামেন্ট ছিঁড়েছে এবং ডান হাতের কব্জি, গোড়ালি, পায়ের আঙুলে চোট রয়েছে। পিঠ ঘষা খেয়েছে। তাই সেখানেও চোট আছে।'
বিসিসিআই লিগামেন্টের চিকিৎসার জন্য বিশেশজ্ঞদের পরামর্শ নেবে। অন্যান্য চোট থেকে সুস্থ না হওয়া অবধি তিনি দেরাদুনের হাস্পাতালেই থাকবেন। পরে বিসিসিআই তাঁর লিগামেন্টের চিকিৎসার জন্য সিদ্ধান্ত নেবে। আদৌ অস্ত্রপচার করতে হবে কি না বা তার জন্য বিদেশে যাওয়ার দরকার রয়েছে কি না। পন্তের প্লাস্টিক সার্জারির জন্যও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দুর্ঘটনার পর তৎপর প্রশাসন
দুর্ঘটনা স্থলের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ওই জায়গার আশেপাশে বারেবারে দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পন্তের এমন দুর্ঘটনার পরে যে গর্তটি ছিল তা রাতারাতি কর্তৃপক্ষ ভরাট করে দিয়েছে। সেখানে রাস্তাও ভালোভাবে মেরামত করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার কারণে ভেঙে যাওয়া সড়কের রেলিংও মেরামত করা হয়েছে।
ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা
স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্র রথী, পঙ্কজ কুমার ও প্রবীণ কুমার জানান, এই জায়গাতেই অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সার্ভিস লেন এখনও করা হয়নি। গাড়িগুলো যখন প্রচণ্ড গতিতে আসে, তখন সামনে একটা ঢিবি দেখা যায়। এমতাবস্থায় চালকরা হঠাত্ করেই সেটা দেখতে পান, এবং সেটা কাটানোর চেষ্টা করতে যান। গাড়ির গতি বেশি থাকায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। পন্তের দুর্ঘটনার পর প্রশাসনের ঘুম ভেঙেছে এবং ওই জায়গায় গর্ত দ্রুত ভরাট করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঋষভ পন্তের গাড়িটি অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় এই গর্তে পড়ে। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে।