লাল-হলুদের হেড কোচ হিসেবে এটাই প্রথম ডার্বি মারিও রিভেরার (Mario Rivera)।সহকারি হিসেবে দুইবার মোহনবাগানকে হারানোর ইতিহাস রয়েছে তাঁর। সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চান মারিও। তবে কাজটা যে একেবারেই সোজা হবে না তা ভাল ভাবেই জানেন স্প্যানিশ হেড কোচ। তবী আশা ছাড়ছেন না মারিও। সিডওয়েল, পেরিসোভিচদের নিয়ে রয় কৃষ্ণদের রুখে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মারিও। এ মরশুমের প্রথম ডার্বিতে মানেলো ডিয়াজের কোচিংয়ে ০-৩ গোলে হেরে যেতে হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে থাকা দলের বিরুদ্ধে আট নম্বরে থাকা দলের লড়াই। যদিও ফুটবলাররা কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় অনেক ম্যাচ কম খেলেছে এটিকে মোহনবাগান। তবে পরিসংখ্যান বা লিগ টেবিলের অবস্থান মাথায় রাখতে নারাজ এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) কোচ মারিও রিভেরা।
ডার্বির (ATK Mohun Bagan vs SC East Bengal) আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মারিও বলেন, ''এই ধরনের ম্যাচে কে কোথায় রয়েছে সেটা বড় ব্যাপার হয় না। এটা একেবারে অন্যরকম ম্যাচ।'' এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণ ভাগের ফুটবলারদের নজরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছহেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ। মারিও বলেন, ''আইএসএল-এর অন্যতম সেরা আক্রমণ ভাগ এটিকে মোহনবাগানের। ওদের থামাতেই হবে। ওদের ফুটবলারদের একটুও জায়গা দেওয়া যাবে না।''
সহকারী কোচ হিসেবে দুটো ডার্বি জিতলেও প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে একটাও ম্যাচ খেলা হয়নি মারিওর। ইনভেস্টর হিসেবে কোয়েস জমানার শেষ বছর পরের দিকে কোচ হয়ে এসেছিলেন মারিও। তবে করোনার জন্য দ্বিতীয় লেগের ডার্বি খেলা হয়নি। মারিও সহকারী বাস্তব রায় আবার এখন এটিকে মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দোর সহকারী। ডার্বির সাক্ষী থাকেননি ফেরান্দোও। বড় ম্যাচে সবুজ-মেরুন বা লাল-হলুদ কোনও দলের ডাগআউটেই বসার সুযোগ আসেনি তাঁর সামনে। শনিবারই প্রথম ডার্বি। বাজিমাত করতে পারলে প্রথম চারের লড়াইয়ে ঢুকে পড়বে তাঁর দল। সেই কারণে এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট তুলতে মরিয়া হবে এটিকে মোহনবাগান। সেটা ভাল ভাবেই জানেন মারিও। তাই শুরু থেকেই নতুন সই করা ফ্রান সোতাকে ব্যবহার করতে চাইছেন না রিভেরা। তিনি বলেন, ''ও সবে এসেছে। এখনই ডার্বির মত ম্যাচে শুরু থেকে নামান উচিত হবে না। ওর কোভিড হয়েছিল। কোয়ারেন্টাইন থেকে ফিরেছে। তাই প্রথম একাদশে ওকে রাখছি না।''
আরও পড়ুন: এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে রেখেও হীরা-অঙ্কিতদের পরামর্শ সুব্রতর
আরও পড়ুন: অমরিন্দর না অরিন্দম কে এগিয়ে? ভাস্করের মতে...
পুরনো সুখের স্মৃতি ফের একবার নিজের ফুটবলারদের মনে করাচ্ছেন মারিও। দেখাচ্ছেন সমর্থকদের আবেগ আর বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসের ছবি। উজ্জিবিত করার আপ্রান চেষ্টা করছেন ফুটবলারদের।