হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মা নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এখন অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
কী হয়েছিল?
বৃহস্পতিবার রাতে স্ট্রোক হয় নিরূপার। ঝিমুনি ভাব থাকায় বৃহস্পতিবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নিরূপাকে। ইসিজি করানো হয়। রিপোর্টে কিছু সমস্যা ধরা পড়ে। তার পরেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকেরা। হৃদ্যন্ত্রের সমস্যার জন্য সৌরভকে যে চিকিৎসক দেখেন, তিনিই নিরূপার চিকিৎসা করছেন। এরপরেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় ফোনে bangla.aajtak.in- কে জানান, 'এখন অনেকটাই স্থিতিশীল হলেও, হার্টের সমস্যা নিয়ে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। সকালে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। তবে এখনই পুরোপুরি বিপদমুক্ত তা বলা যাবে না।'
সৌরভ নিজেও ২০২১ সালে হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর স্টেন্ট বসেছিল। তাঁর মায়ের ক্ষেত্রে তেমনটা হবে কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ এক্ষেত্রে বয়স একটা বড় বাধা। ফলে চিকিৎসকরা গোটা ব্যাপারটা খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন।
অবস্থা বুঝে হয়তো নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বুকে স্টেন্ট বসানো হতে পারে। যেহেতু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মায়ের বয়স বেশ অনেকটাই, তাই সেই দিকটা মাথায় রাখছেন চিকিৎসকরা। সব দিক বিবেচনা করেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আপাতত তিনি চিকিৎসকদের নজরদারিতে থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্মেহাশিসও
সৌরভের পাশাপাশি এর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও। তাঁকেও হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে যদিও ব্যাপারটা অন্যরকম। করোনার সময়ও দু'বার নিরূপাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এক বার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে। দ্বিতীয় বার ২০২২ সালের জুলাই মাসে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সে সময় অক্সিজেনও দিতে হয় তাঁকে। সে সময়ই জানা গিয়েছিল, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি, নার্ভের সমস্যা, ডায়বেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে।