আইপিএল (IPL) নিয়ে সমালোচনা করায় এবার সুনীল গাভাস্কারের (Sunil Gavaskar) রোষের মুখে পড়ল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের সাফ কথা, তারা নিজেদের দেশের পরিস্থিতির দিকে নজর দিন। ভারতীয় ক্রিকেটে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই। কিছুদিন আগেই আইপিএল-এর দলগুলির বিশ্বজোড়া প্রভাব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। তার জেরেই এই মন্তব্য করলেন গাভাস্কার।
আইপিএল নিয়ে সমালোচনা করেছেন গিলক্রিস্ট
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন উইকেটরক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের (Adam Gilchrist) দেওয়া বক্তব্যের পরেই সুনীল গাভাস্কারের এই বক্তব্য। আইপিএলের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। গিলক্রিস্ট এই বিপুল লাভজনক টি-টোয়েন্টি লিগের বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণকে বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছিলেন। একই সঙ্গে আইপিএলের ক্রমবর্ধমান একচেটিয়া আধিপত্য নিয়েও চিন্তিত অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। এটি লক্ষণীয় যে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত লিগের বেশিরভাগ দল কিনে নিয়েছে।
একটি ওয়েবসাইটের কলামে সুনীল গাভাস্কার লিখেছেন, 'আবারও বলা হচ্ছে যে আইপিএলের জন্যই নাকি অন্যান্য দলের ক্রিকেট ক্যালেন্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগ এবং ইউএই টি-টোয়েন্টি লিগে ভারতীয়রা দল কেনার পর থেকেই এতদিন ক্রিকেটকে শাসন করা দেশগুলি চিৎকার করতে শুরু করেছে। কারুর নাম না নিয়েই গাভাস্কার বলেন, ''আপনার দেশের মানুষের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহের দিকে নজর রাখুন। আমরা যা করি তাতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করবেন না। আমাদের সুবিধা অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব, আপনি যা বলবেন তা হবে না।''
বিপাকে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া
গাভাস্কার বলেন, "চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের যে সময় পাওয়া যাবে, সেই সময়ের কথা ভেবেই অস্ট্রেলিয়ানরা তাদের বিগ ব্যাশের সময়সূচি নির্ধারণ করে।" তবে সমস্যা হয়েছে অন্য জায়গায়। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগও একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এই দুই লিগে খেললে অনেক বেশি টাকা পাবে ক্রিকেটাররা। এই অবস্থায় বিগ ব্যাশের পরিবর্তে জায়গায় কিছু খেলোয়াড়ের সেখানে খেলার আশঙ্কা রয়েছে।