হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৩ গোল করেও ড্র। সুপার কাপ থেকে ছিটকেই গেল ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হত লাল-হলুদকে। আর সেই ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন নাওরেম মহেশ সিং। তাতেও কাজের কাজ হল না। আবারও হতশ্রী ডিফেন্সের কারণে ৩-৩ গোলে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। একা দুই গোল করেও দলকে জেতাতে পারলেন না মহেশ। ম্যাচের শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৪ মিনিটেই দলকে এগিয়েদেন মহেশ। হায়দরাবাদ গোলরক্ষক গুরমীত কাটিয়ে নিয়ে দারুণ গোল করেন মহেশ।
যদিও ১০ মিনিটেই সেই গোল শোধ করে ফেলে হায়দরাবাদ। হলিচরন নাজারির পাস থেকে গোল করে যান জাভিয়ার গামা। ঠিক এর ৬ মিনিট পরেই ফের গোল করে ইস্টবেঙ্গল। তুহিন দাসের দারুণ ক্রস অল্পের জন্য নাগাল পাননি জ্যাক জার্ভিস। গোলরক্ষক গুরমীতের গায়ে লেগে বল চলে যায় ভিপি সুহেরের কাছে। সেখান থেকে গোল করে দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন কেরালিয়ান স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ লগ্নে এসে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। ৪৪ মিনিটে হওয়া সেই গল্টাও আসে মহেশের পা থেকেই। ক্লেটনের ক্রস গুরমিত সেভ করলেও ফিরতি বল চলে আসে মহেশের কাছে। সেখান থেকেই গোলে শট করেন মহেশ।
দ্বিতীয়ার্ধের শেষ ২০ মিনিট শাসন করে হায়দরাবাদ। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে। ৭১ মিনিটে ব্যবধান কমান জাভি। বোরহা হেরেরার শট কোনওমতে কমলজিত বাঁচালেও ফিরতি বলে গোল করে যান জাভি। ৮৩ মিনিটে আব্দুল রেবার গোলে সমতা ফিরিয়ে আনে হায়দরাবাদ।
ম্যাচের শেষদিকে জয়সূচক গোলটাও পেয়ে যেতে পারত হায়দরাবাদ। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। পেনাল্টি বক্সের মধ্যেই বল হাতে লেগেছিল সার্থক গলুইয়ের। তবে রেফারি ফ্রিকিক দেন। সেখাম থেকে জাভি গোল পেয়ে যেতে পারতেন। দারুণ দক্ষতায় ডানদিকে ঝাঁপিয়ে সেভ করেন কমলজিৎ।