স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। ২০২২ সালে টি২০-তে ১০০০ রান করে ফেলেছেন। ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে এখন তিনিই নতুন'মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি'। যা দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা এবি ডেভিলিয়ার্সকে বলা হত আগে। অস্ট্রেলিয়ার বড় বড় মাঠেও বল ইচ্ছামতো মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছেন সূর্য। টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে তিনটি অর্ধশতরান করেছেন। প্রতি ম্যাচে এমন বিধ্বংসী ব্যাট করার আগে কী করেন সূর্য? দু'ভাবে প্রস্তুতি নেন এই তারকা ব্যাটার। একটা কৌশল তাঁর নিজের, আর একটা স্ত্রীর।
সূর্যের ব্যাটিং দেখে বিস্মিত ক্রিকেট কিংবদন্তিরা। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর ব্যাটার এই ভারতীয়। কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও তারিফ করেছেন তাঁর। তাঁর কথায়,'এমন স্ট্রাইকরেটে ধারাবাহিকতা নিয়ে খেলা যায় না। কারণ প্রতি শটে আউট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।' সেই সূর্য প্রতি ম্যাচের আগে জোড়া কৌশল অনুসরণ করেন।
একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূর্যকুমারের স্ত্রী দেবীশা প্রতিটি সফরেই সূর্যের সঙ্গে যান। প্রতিবার ম্যাচের আগে একটি অভ্যাস মেনে চলেন সূর্য। সেটা হল- খেলা শুরু হওয়ার অনেক আগে সূর্যের ফোন নিজের কাছে রেখে দেন দেবীশা। এ কারণে অপ্রয়োজনীয় বা সূর্যের উপর বাড়তি চাপ পড়ে না। সূর্য মানসিকভাবে খেলার মধ্যে থাকেন। তাঁর মনোসংযোগ নষ্ট হয় না।
সূর্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ম্যাচের ঠিক একদিন আগে তিনি কী গেম প্ল্যান করেন? আপনি কি নেট অনুশীলন করেন নাকি অন্য কোনও প্রস্তুতি কৌশল রয়েছে? জবাবে সূর্যকুমার বলেছিলেন,'গত ৪ বছর ধরে আমি একই কৌশল অবলম্বন করেছি। এতে আমার অনেক উপকারও হয়েছে। ম্যাচের ঠিক আগে একদিন ছুটি নিয়েছি। দুদিন আগে শেষ অনুশীলন করি।'
ভারতীয় দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। নিজেদের শেষ ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে হারিয়েছে তারা। এই ম্যাচে সূর্য ২৫ বলে ৬১ রান করেছেন সূর্যকুমার। মারেন ৪টি ছক্কা ও ৬টি চার। তাঁর স্ট্রাইক রেট ২৪৪। সূর্য এ বছরের জানুয়ারি থেকে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০০ রান করা প্রথম ক্রিকেটার।
চলতি টি২০ বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন সূর্য। এর মধ্যে তিনটি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬৮ এবং নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৫১ রান করেছিলেন। আইসিসি টি২০ র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে এখন সূর্যকুমার। পিছনে ফেলেছেন পাকিস্তানি ব্যাটার মহাম্মদ রিজওয়ানকে।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে বিতর্ক, সত্যি আউট ছিলেন সাকিব?