শেষ ৩০ বলেই ঘুরে গেল ম্যাচ। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা মাফিক বল করেই চ্যাম্পিয়ন হল রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) ভারতীয় দল (Team India)। শেষ পাঁচ ওভারে যখন মাত্র ৩০ রান হাতে নিয়ে লড়াই করছে ভারত। সেই সময়ই মক্ষম চাল চেলে দিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত। প্রথমে জসপ্রীত বুমরা ও হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে বল তুলে দেন। আর তাতেই কাজ হল। ছয় উইকেট হাতে নিয়েও ৬ রান আগেই শেষ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
কী হল এই ৩০ বলে?
বুমরার ওভার বেশ সাবধান হয়ে খেলছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। এক ওভারে বুমরা দেন মাত্র চার রান। প্রথম বলেই অল্পের জন্য বাঁচেন ডেভিড মিলার। প্রথম বলে আসে ১ রান। ২ রান তার পরের বলে। হেনরি ক্লাসেনও আউট হয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তাঁকে বাঁচিয়ে দেয় টাইমিং। সেই ওভারে মাত্র ৪ রান আসে। তবে পরের ওভার বল করতে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথম বলেই তুলে নেন হেনরি ক্লাসেনের উইকেট। ২৭ বলে ৫২ রান করে কিপার ঋষভ পন্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এতেই মনোবল অনেকটা ভেঙে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৮ তম ওভারে বুমরা, ইয়ানসেনকে বোল্ড করার পর ম্যাচের উপর ভারতের দখল আরও পাকা পোক্ত হয়। ১৯তম ওভারে বল করতে আসা আর্শদীপ উইকেট না পেলেও, দিয়েছেন মাত্র ৪ রান। এতে চাপ বেড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের উপর।
শেষ তিন ওভারে প্রতি বলে ধরে এভাবেই এগোল টিম ইন্ডিয়া-
১,২,০,০,১,০,উইকেট,০,১,১,১,১,০,০,১, উইকেট, 0,১,0,0,১,২,১,০,০,৪,বাই,লেগ বাই,ওয়াইড, উইকেট, ১
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৬ রান প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ক্রিজে ছিলেন ডেভিড মিলার ও কেশব মহারাজের জুটি। হার্দিক পান্ডিয়া শেষ ওভারটি করেন। প্রথম বলেই লংঅফে মিলার ক্যাচ দেন সূর্যকুমারকে। দারুণ এক ক্যাচ নেন সূর্যকুমার। মিলার আউট হতেই দক্ষিণ আফ্রিকার সমস্ত আশাই শেষ হয়ে যায়। এই ওভারে পান্ডিয়া ৮ রানে দুই উইকেট পান। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ৭ রানে হেরে যায় তারা।