
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ জেতার পরেই ঘোষিত হবে টি২০ বিশ্বকাপের দল। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদবের ফর্ম। কয়েক মাস আগেও টি২০ ঘরানায় তিনি ছিলেন বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে তাঁর কাঁধে নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু সেই সূর্যকুমার যাদব যেন রান হাতড়ে বেড়াচ্ছেন।
২০২৫ সালে তাঁর ব্যাট থেকে একটিও হাফ সেঞ্চুরি আসেনি। টি২০ বিশ্বকাপের দলে তিনি জায়গা পাবেন কি না, তা নিয়েই জোরালো প্রশ্ন উঠতে পারত। কিন্তু সেই প্রশ্ন আপাতত মুলতুবি থাকবে। কারণ তিনি দলের অধিনায়ক। দু'মাস পরেই টি২০ বিশ্বকাপ। এই অবস্থায় নেতৃত্ব বদলের মতো বড়সড় ঝুঁকি নিতে চাইবেন না নির্বাচকরা। তাই শনিবারের দল নির্বাচনে ফের সূর্যকুমারের হাতেই তুলে দেওয়া হবে বিশ্বকাপের নেতৃত্ব।
তাঁর নেতৃত্ব হয়তো কিছুটা প্রশ্নের মুখে পড়ত, যদি শুভমান গিল ব্যাট হাতে রান পেতেন। কিন্তু তাঁর ব্যাটেও রানের খরা। অন্য কেউ হলে হয়তো দল থেকে বাদ পড়তেন। কিন্তু দুই ঘরানায় তিনি দলের অধিনায়ক। এই অবস্থায় তাঁকেও দল থেকে বাদ দেওয়ার ঝুঁকি হয়তো নেবেন না নির্বাচকরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে যে দল খেলছে, সম্ভবত সেই দলই রেখে দেওয়া হবে বিশ্বকাপের জন্য। শনিবার একইসঙ্গে ঘোষণা হবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের দল। দলে বিরাট কোনও চমক থাকার সম্ভাবনা কম। বিশ্বকাপের দল এবং টি২০ সিরিজের দল একই হওয়ার সম্ভাবনা। হয়তো যশস্বী জয়সওয়ালকে একটা সুযোগ দেওয়া হতেও পারে। বিশ্বকাপের দলে এই বাঁ-হাতি ব্যাটারকে হয়তো স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হতে পারে।
শনিবার দল ঘোষণা হলেও সেটাই চূড়ান্ত নয়। টি২০ বিশ্বকাপ শুরু ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। শেষ মুহূর্তেও দলে পরিবর্তন করার সুযোগ থাকছে। ঈশান কিষাণ সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দুরন্ত ফর্মে থাকলেও তাঁর সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, দুই উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মা এবং সঞ্জু স্যামসন দলে রয়েছেন। ওপেনার হিসেবে সঞ্জুর ট্র্যাক রেকর্ড যথেষ্টই ভাল। শুভমান গিল ফর্মে না থাকলে সঞ্জুকে ওপেনার হিসেবে দেখা যেতেই পারে।
দুই অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ও শিবম দুবে ফর্মেই রয়েছেন। বোলিং বিভাগ নিয়ে তেমন দুশ্চিন্তা নেই। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষার তেমন সম্ভাবনাও নেই।