আজ বিকেলে একটি ট্যুইট করেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর সেই ট্যুইট ঘিরেই আসমুদ্র হিমাচলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। সৌরভ ট্যুইটজানান যে তিনি "নতুন কিছু শুরু করতে চলেছেন"। এরপরেই গোটা দেশে তোলপাড় হয়ে যায়। কেউ বলতে শুরু করেন, সৌরভ বিসিসিআই-এর সভাপতি পদ ছাড়তে চলেছেন, কেউ বলেন , এবার রাজনীতির আঙিনায় পা রাখতে চলেছেন তিনি। এমন জল্পনাও শোনা যায়, সৌরভ নাকি বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভায় যেতে চলেছেন। দেশ জুড়ে এমনই হইচই পড়ে যায় যে, স্বয়ং অমিত শাহ ফোন করে সৌরভকে জিজ্ঞাসা করেন, ব্যাপার কী? তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব জল্পনার অবসান ঘটে। সৌরভ নিজেই তার অবসান ঘটান। জানা যায় গোটাটাই বিজ্ঞাপনী চমক।
এদিন জল্পনা শোনা গিয়েছিল, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও সেই জল্পনায় জল ঢালেন BCCI সচিব জয় শাহ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে সৌরভ BCCI সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না। এদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সূত্রের খবর, অমিত শাহের ফোন পেয়ে সৌরভ নাকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, বিষয়টির সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। সৌরভের অফিস থেকেও দাবি করা হয় বিজ্ঞাপনী চমক।
সৌরভকে নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা দেশ তখন পর্দা তুললেন স্বয়ং মহারাজই। জানিয়ে দিলেন , এবার তিনি এডুকেশনাল অ্যাপ লঞ্চ করছেন। গোটা দুনিয়া জুড়ে এই অ্যাপের পরিষেবা মিলবে। এর সঙ্গেই যাবতীয় জল্পনার যবনিকা পড়ে। প্রসঙ্গত সৌরভের রাজনীতিতে যাওয়া নিয়ে বহুদিন ধরেই গুঞ্জন শোনাা গিয়েছে। সম্প্রতি অমিত শাহও সদলবলে সৌরভের বাড়িতে এসে নৈশভোজও সেরে গিয়েছেন। সৌরভের ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে যে, সৌরভ আইসিসি-র প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা ভাবছেন। সেক্ষেত্রে সৌরভকে বিসিসিআই সভাপতি পদে থাকতেই হবে। যদি না নভেম্বর মাসে আদালত তাঁকে সরিয়ে দেয়। সৌরভের বোর্ডের সভাপতি পদ ছাড়ছেন না। সেই কথা জয় শাহও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। রাজনীতি বা বিসিসিআই নয়, তিনি এবার এডুকেশনাল অ্যাপ করছেন, দিনের শেষে নিজেই জল্পনার অবসান ঘটালোন বাংলার দাদা।