Advertisement

Virat Kohli: 'রং নম্বর' ডায়াল বিরাটের? প্রত্যন্ত গ্রামের দুই কিশোর ফোন পেয়ে চমকে উঠল, তারপর...

ছত্তিশগড়ের প্রত্যন্ত গ্রামের দুই কিশোরের কাছে এল বিরাট কোহলির ফোনকল। একটা ফোন জীবন বদলে দিল রাতারাতি। কীভাবে বাস্তবে পরিণত হল কিশোর মনে দেখা স্বপ্ন? কাহিনি হার মানিয়ে দেবে সিনেমার চিত্রনাট্যও।

বিরাট কোহলির ফোন পেয়ে হতচকিত দুই কিশোর বিরাট কোহলির ফোন পেয়ে হতচকিত দুই কিশোর
Aajtak Bangla
  • ছত্তিশগড়,
  • 11 Aug 2025,
  • अपडेटेड 12:19 PM IST
  • ছত্তিশগড়ের গ্রামের দুই কিশোরের কাছে বিরাট কোহলির ফোন
  • ফোন এল এবি ডিভিলিয়ার্স, রজত পাতিদারেরও
  • কাহিনি হার মানাবে সিনেমার চিত্রনাট্যকেও

এ যেন সিনেমার চিত্রনাট্য! ছত্তিশগড়ের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা দুই কিশোরের জীবন বদলে গেল একটি ফোন কলে। ফোনের ওপারে ছিলেন স্বয়ং বিরাট কোহলি! ছেলেবেলা থেকে যে ক্রিকেটারকে দেখে খেলার নেশা চেপেছে মনে, তার ফোন পেয়ে স্পিচলেস হয়ে গিয়েছিল মণীশ ও খেমরাজ। কীভাবে সত্যি হল এমন স্বপ্ন? 

ঘটনাস্থল ছত্তিশগড়ের গড়িয়াবন্দ জেলার মাদগাঁও গ্রাম। সেখানকার স্থানীয় একটি দোকান থেকে সম্প্রতি একটি সিম কার্ড কেনে মণীশ বিসি। পড়াশোনার ফাঁকেই মোবাইলের নেশায় বুঁদ থাকা মণীশ ও তার বন্ধু খেমরাজের প্রিয় খেলা ক্রিকেট। পছন্দ বিরাট কোহলি। আর সেই প্রিয় খেলোয়াড়েরই ফোন এল মণীশের ফোনে! 

জানা গিয়েছে, মণীশ বিসি যে সিম কিনেছিল, তা আগে ছিল IPL খ্যাত রজত পাতিদারের নামে।  অ্যানড্রয়েড ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টল করতে নিজে থেকেই প্রোফাইল পিকচারে ভেসে ওঠে ক্রিকেটার রজত পাতিদারের ছবি। সেই নম্বরে লাগাতার ফোন আসতে শুরু করল তারকা ক্রিকেটারদের। কখনও ফোনের ওপার থেকে ভেষে এল, 'হ্যালো আমি বিরাট কোহলি বলছি...'। ফোন এসেছে এবি ডিভিলিয়ার্সেরও। শুনতে সিনেমার চিত্রনাট্য মনে বলেও বাস্তবেই ঘটেছে এমনটা। 

তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন মণীশ এবং খেমরাজ। স্বপ্ন না বাস্তব ঠাওর করতে পারছিলেন না। দুষ্টু স্বভাবের দুই বন্ধু মিলে ঠিক করে, এর পরে কেউ মজা করে ক্রিকেটারের নাম নিয়ে ফোন করলে মণীশ নিজেকে মহেন্দ্র সিং ধোনি বলে পরিচয় দেবে। রহস্যের পর্দাফাঁস হয় ১৫ জুলাই। সেদিন ফের একটি ফোন আসে। ফোনের ওপার থেকে যিনি কথা বলেন, তিনি নিজেকে রজত পাতিদার বলে পরিচয় দেন। মণীশকে ফোন নম্বরটি ফেরত দেওয়ার আর্জি জানান ক্রিকেটার। এদিক থেকে মণীশ ও খেমরাজ চিৎকার করে বলে ওঠে, ‘আমরা মহেন্দ্র সিং ধোনি… ।’ আসলে কিশোর মন তখনও বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পারেনি। নিছক মজার ছলেই নিয়েছিল বিষয়টা। ভেবেছিল, কেউ বা কারা তাদের সঙ্গে মজাই করছে। তবে কিশোরদের দুষ্টুমি বুঝতে পারেনি IPL তারকা। রজত বলেন, ‘ঠিক আছে, তোমার বাড়িতে পুলিশ যাবে।’

Advertisement

এরপর মণীশ ও খেমরাজের খোঁজে গ্রামে সত্যি সত্যিই গিয়ে পৌঁছয় পুলিশ। তারা জানায় নম্বরটি ক্রিকেটার রজত পাতিদারের। সেটি ফেরত দিতে হবে। স্বপ্ন থেকে এক লহমায় বাস্তবের মাটিতে এসে পৌঁছয় মণীশ। বিনা দ্বিধাতেই নম্বর ফেরত দিয়ে দেয় সে। সিম কার্ড দিয়ে দিতে হলেও এখনও স্বপ্নের জগতেই মণীশ আর খেমরাজ। যাঁর খেলা দেখতে কোটি কোটি ভারতীয় উদগ্রীব, যাঁর সঙ্গে একটি সেলফি তুলতে প্রাণ বাজি পর্যন্ত রেখে ছুটে যায় ফ্যানেরা, সেই ‘কিং কোহলি’ স্বয়ং ফোন করেছিলেন তাদের। সত্যি সত্যিই বিরাট কোহলি কথা বলেছিলেন তাদের সঙ্গে। বিস্ময়, আনন্দ, উচ্ছ্বাসে এখনও আত্মহারা দুই বন্ধু। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement