শেষ ওভারে বাকি ছিল ৯ রান। টি২০ ক্রিকেটের যুগে আইপিএল-এ (IPL 2023) এই রান ডিফেন্ড করা যে কতটা কঠিন, সেটা সকলেই জানেন। তবুও এর মধ্যেই মরণ-বাঁচন ম্যাচে শেষ ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর (Varun Chakraborty) হাতে বল তুলে দেন কেকেআর (Kolkata Knight Riders) ক্যাপ্টেন নীতীশ রানা (Nitish Rana)। সেই কঠিন দায়িত্ব দারুণ ভাবে পালন করেন কেকেআর স্পিনার। যদিও বল হাতে নিয়ে বেশ টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন বরুণ।
ম্যাচের শেষদিকে বৃষ্টি কিছুটা সমস্যা তৈরি করেছিল কেকেআর বোলারের সামনে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর, বরুণ বলেন, ‘নীতীশ আমার হাতে যখন বল তুলে দেয়, হৃদস্পন্দন ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল মনে হয়। বুঝতে পারছিলাম না কী করা উচিত।’’ যোগ করেন, ‘‘লক্ষ্য করে দেখি মাঠের একটা দিক বড়। ব্যাটসম্যান যাতে সেই দিকে শট খেলার চেষ্টা করে, সেই অনুযায়ী বল করেছি। সেই ফাঁদে পা দিয়ে শট খেলতে যায় সামাদ। ওর উইকেট পাওয়ার পরেই আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি।’ শেষ ওভারে বল হাত থেকে পিছলে যাচ্ছিল বলেও জানিয়েছেন বেঙ্কটেশ।
আরও পড়ুন: SRH-কে হারিয়েও আট নম্বরেই KKR, কীভাবে প্লে অফে যেতে পারেন নীতীশরা?
ম্যাচ শেষে বরুণ আরও বলেন, ‘শেষ ওভারে আমি অতিরিক্ত কিছু চেষ্টাই করিনি। একেই বৃষ্টি পড়ছিল। হাত থেকে পিছলে যাচ্ছিল বল। তাই অতিরিক্ত ঘোরাতে যাইনি। সেই চেষ্টা করলেই ফুলটস পড়ত।’ শেষ বলে বাকি ছিল ছ’রান। সেই সময় কী ভাবছিলেন? বরুণের উত্তর, ‘জোরের উপরে বল করতে চেয়েছিলাম। ভাগ্যিস ওরা দু’রান নেয়নি পঞ্চম বলে। সেটা করলে এত জোরে শেষ বল করতে পারতাম না। চার হয়ে যাওয়ার চিন্তা থাকত। কিন্তু ছ’রান বাকি থাকার ফলে আমি নিশ্চিত ছিলাম, জোরের উপর বল করলে ভুবি মারতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: KKR-এর বড় চমক, লিটনের পরিবর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্লেয়ার
কেকেআর-এর আরেক নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার শার্দূল ঠাকুরও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন নীতীশের এমন সিদ্ধান্তে। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার হাতে বল দিলে শেষ ওভারে ৯ রান আটকাতে পারতাম কি না সত্যি জানি না। নীতীশ আদর্শ বোলারের উপরে ভরসা রেখেছে। আমরা সকলেই জানি বরুণ কী করতে পারে। শেষ ওভারে অতিরিক্ত কিচ্ছু করতে যায়নি। একদম জোরের উপরে উইকেটের সোজাসুজি বল রেখেছে। চাপের মুহূর্তে এই রকম একটা ওভার করা সত্যি কঠিন।’’