ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান বিনোদ কাম্বলি আজকাল আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। অবস্থা এমন যে, টাকা রোজগারের জন্য তিনি ক্রিকেট সংক্রান্ত যেকোনো কাজ করতে প্রস্তুত। গত মঙ্গলবার মুম্বইয়ের একটি কফি শপে বসে থাকা এই প্রাক্তন ক্রিকেটারকে চিনতেও অসুবিধা হয়েছিল। সাধারণত একটি সোনার চেইন, স্টাইলিশ ক্যাপ এবং জাঁকজমকপূর্ণ পোশাকে দেখা যায় কাম্বলিকে,কিন্তু সেদিন কাম্বলিকে খুব সাধারণ লাগছিল এবং তার সেল ফোনের স্ক্রীনটি ভাঙা সেটাও দেখা যাচ্ছিল।
কাম্বলির অবস্থা এমন যে, ক্লাবে পৌঁছতে তাকে আসতে হয় বন্ধুর গাড়িতে। কাম্বলি জানিয়েছেন যে তার কাজের প্রয়োজন এবং বর্তমানে তার আয়ের উত্স বিসিসিআই পেনশন। কাম্বলি BCCI থেকে পেনশন হিসাবে ৩০,০০০ টাকা পান। তার আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা বলতে গিয়ে কাম্বলি বলেছেন যে আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার এবং সম্পূর্ণরূপে বিসিসিআই পেনশনের উপর নির্ভরশীল। আমার আয়ের একমাত্র উৎস হল পেনশন এবং আমি এর জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে কৃতজ্ঞ।
কাম্বলি বলেন যে আমি অ্যাসাইনমেন্ট চাই যাতে আমি তরুণ ক্রিকেটারদের সাহায্য করতে পারি। আমি জানি মুম্বই তাদের প্রধান কোচ হিসেবে অমল মজুমদারকে রেখেছে এবং তাদের প্রয়োজন হলে আমি সেখানে আছি। আমি বহুবার বলেছি, যদি প্রয়োজন হয়, আমি সঙ্গে আছি। আমার পরিবার আছে এবং আমাকে তাদের যত্ন নিতে হবে। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরে , আপনি যদি জীবনে স্থিতিশীলতা চান তবে অ্যাসাইনমেন্টগুলি অবশ্যই আবশ্যক। আমি এমসিএ সভাপতিকে অনুরোধ করতে পারি যে প্রয়োজনে আমি প্রস্তুত।
কাম্বলি আরও বলেন যে পরিস্থিতি এখন বিরক্তিকর। আমি ধনী হয়ে জন্মগ্রহণ করিনি এবং শুধুমাত্র ক্রিকেট খেলেই জীবনে কিছু করতে পারতাম। আমি দারিদ্র দেখেছি, মাঝে মাঝে খাবার ছিল না। আমি সারদা আশ্রম স্কুলে যেতাম যেখানে আমি দলে থাকাকালীন খাবার পেতাম, আর সচিন টেন্ডুলকার আমার বন্ধু হয়েছিলেন। আমি খুব দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছি এবং আমি আমার বাবা-মাকে খুব মিস করি। ক্রিকেট থেকে অনেক কিছু পেয়েছি।
প্রসঙ্গত বিনোদ কাম্বলি ভারতের হয়ে ১৭ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন যাতে তিনি ১০৮৪ রান করেন, ১০৪টি ওয়ানডেতে তিনি ২৪৭৭ রান করেন। টেস্টে ৪টি সেঞ্চুরি এবং ওয়ানডেতে ২ টি সেঞ্চুরি করেন তিনি। বিনোদ কাম্বলিকে শেষ বার কোচিং করাতে দেখা গেছে ২০১৯ টি ২০ মুম্বই লিগে কোচিং করাতে। কাম্বলি নেরুলে সচিন তেন্ডুলকারের মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমিতে তরুণ ক্রিকেটারদের মেন্টারন। তবে নেরুল অনেক দূর হয়ে যাওয়া সেই কাজ থেকে অবসর নেন কাম্বলি।