Advertisement

kanpur Woman : 'তুমি আর মুসলমান নেই, এখন হিন্দু', জাফরান ওড়না পরায় একঘরে মুসলিম যুবতী!

বোরখার উপর জাফরান রঙের ওড়না পরায় মুসলিম যুবতীকে একঘরে করার অভিযোগ। ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের। যুবতীর দাবি, তিনি আর্থিক সাহায্য চাইতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন।

কানপুরের মহিলা কানপুরের মহিলা
Aajtak Bangla
  • কানপুর ,
  • 24 Dec 2023,
  • अपडेटेड 3:49 PM IST
  • বোরখার উপর জাফরান রঙের ওড়না পরায় মুসলিম যুবতীকে একঘরে করার অভিযোগ
  • এমনকী তাঁকে মারধরের চেষ্টাও করা হয়

বোরখার উপর জাফরান রঙের ওড়না পরায় মুসলিম যুবতীকে একঘরে করার অভিযোগ। ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের। যুবতীর দাবি, তিনি আর্থিক সাহায্য চাইতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আসার পর তাঁকে এলাকার লোকজন বলেন, 'তুমি জাফরান রঙের স্কার্ফ পরেছিলে তাই তুমি হিন্দু হয়ে গিয়েছ।' ঘটনা উত্তরপ্রদেশের কানপুরের। 

পুলিশের কাছে মহিলার অভিযোগ, শ্লীলতাহানি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর তাঁকে মুসলিম সমাজের অনেকেই একঘরে করে দেওয়ার নিদান দেয়। বলা হয়, 'এখন শরিয়ত মোতাবেক কোনও সাহায্য তুমি পাবে না। এমনকী আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করতেও উদ্যত হয় কয়েকজন।' ওই যুবতী, জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের সভাপতি আরশাদ মাওলানার বিরুদ্ধে অভিযোগের দাবিও জানান।  

যুবতীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার কারণে তাঁর ভাই তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায়। পাড়ার একাধিক ছেলে তঁকে উত্যক্ত করত। তিনি ২০২২ সালে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। এরপরই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। 

অভিযোগ, ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর ওই যুবতী কানপুরের কাজি আবদুল কুদ্দুস হাজির কাছে যান। সেই কাজি তাঁকে বলেন, 'আপনি জাফরান পরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। আপনি হিন্দু হয়ে গেছেন। এখান থেকে চলে যান।' তখন যুবতী জানান, তিনি শরিয়ত মোতাবেক খরচ মেটাতে পারছিলেন না। সেই কারণে, তিনি গিয়েছিলেন। যদি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য না নেন, তাহলে তাঁকে যেন সহযোগিতা করা হয়। তখনই সেই ব্যক্তি লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে আসেন। 


যুবতীর দাবি, এরপর তিনি বিষয়টি নিয়ে জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের জাতীয় সভাপতি আরশাদ মাদানির কাছে অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তুি, তিনিও এর কোনও সমাধান করেননি। সেই ঘটনার অডিও পুলিশকে জমা দেন যুবতী। মিডিয়াকেও দেখায়য 

এই ঘটনা নিয়ে স্টাফ অফিসার অশোক কুমার সিং জানিয়েছেন, ওই মহিলা অভিযোগ করেছেন। সেই জন্য তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলা এডিসিপি অনিতা সিংকে। ইতিমধ্যেই ওই মহিলার ভাইদের সঙ্গে বিবাদ চলছে। তা নিয়ে তিনি বহুবার অভিযোগ করেছেন। পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করে ব্যবস্থাও নিয়েছে।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement