২০২৩ সালের বিশ্বকাপের সেরা চূড়ান্ত একাদশ ঘোষণা করল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। প্রায় দেড় মাস ধরে চলা এই টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে আইসিসি প্লেয়িং-১১। যাতে ঠাঁই পেয়েছেন ৬ ভারতীয়। আশ্চর্যজনকভাবে এই দলের জায়গা হয়নি চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সেরই। আইসিসি-র চূড়ান্ত একাদশের অধিনায়ক হয়েছেন রোহিত শর্মা।
১। কুইন্টন ডি কক- চলতি বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং ব্যাটার ও উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কক। ১০ ম্যাচ খেলে রান ৫৯৪। স্ট্রাইক রেট ১০৭.২।
২। রোহিত শর্মা- কুইন্টনের ওপেনিং সঙ্গী রোহিত শর্মা। তিনি দলের অধিনায়কও বটে। ১১ ম্যাচে রান ৫৯৭। তাঁর স্ট্রাইকট গোটা টুর্নামেন্ট ধরেই চর্চায় ছিল। ১২৫.৯৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন রোহিত।
৩। বিরাট কোহলি- তিন নম্বরে বিরাট কোহলি নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে ভাবার অবকাশই দেননি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক সংস্করণে সর্বাধিক তাঁর দখলে। এবারই সচিনের ২০০৩ সালের রেকর্ড ভেঙে করেছেন ৭৬৫ রান। গড় ৯৬.৬২।
৪। ডারিল মিচেল- নিউজিল্যান্ডের ডারিল মিচেল দারুণ খেলেছেন বিশ্বকাপে। ১১১.০৬ স্ট্রাইক রেটে ৬৯ গড়ে করেছেন ৫৫২ রান।
৫। কেএল রাহুল- পাঁচ নম্বরে ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হয়ে উঠেছেন কেএল রাহুল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে রয়েছে তাঁর লড়াকু ৯৭ রান। টুর্নামেন্টে ৭৫.৩৩ গড়ে করেছেন ৪৫২ রান।
৬। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল- নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মাত্র ৪০ বলে করেছেন সেঞ্চুরি। আবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হারা ম্যাচে ২০১ রান করে দলকে জিতিয়েছেন। তাও আবার মাত্র ১২৮ বলে।
৭। রবীন্দ্র জাডেজা- অলরাউন্ডার হিসেবে দলে সুযোগ পেয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা। ৫ ইনিংসে করেছেন ১২০ রান। বল হাতে নিয়েছেন ১৬ উইকেট।
৮। জসপ্রীত বুমরা- পেসার হিসেবে দলে ঠাঁই পেয়েছেন জসপ্রীত বুমরা। পাওয়ার প্লে-তে নিয়মিত উইকেট তুলেছেন তিনি। সবমিলিয়ে ২০ উইকেট নিয়েছেন বুমরা।
৯। দিলশান মধুশঙ্কা- বিশ্বকাপে একেবারেই ভাল পারফর্ম করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। তবে তাদের বাঁ হাতি পেসার দিলশান মধুশঙ্কা জায়গা পেয়েছেন আইসিসি-র সেরা একাদশে। এবারে তিনি নিয়েছেন ২১ উইকেট।
১০। অ্যাডাম জাম্পা- বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দল থেকে ঠাঁই পেয়েছেন স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। ২৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে স্পিনার হিসেবে বিশ্বকাপে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার তালিকায় মুরলীধরনের সঙ্গে নিজের নাম জুড়েছেন।
১১। মহম্মদ শামি- প্রথম চার ম্যাচ বসেছিলেন। হার্দিক পান্ডিয়া চোট না পেলে বিশ্বকাপে হয়তো খেলাও হত না শামির। মাত্র ৭ ম্যাচ খেলেই শামি হয়েছেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তাঁর শিকার ২৪ উইকেট।
১২। জেরাল্ড কোয়েৎজি- ২৩ বছরের দক্ষিণ আফ্রিকান জোরে বোলার জেরাল্ড নিয়েছেন ২০ উইকেট। খেলেছেন ৮ ম্যাচ। তিনি হয়েছেন দ্বাদশ ব্যক্তি।