উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছে ভিস্তাডোম পরিষেবা। জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার রুটে চলছে ভিস্তাডোম। পথ মধ্যে বেশ কয়েকটি স্টেশনেও দাঁড়াচ্ছে এটি। অত্যাধুনিক ওই ট্রেনে বসেই ডুয়ার্সের জঙ্গল দেখতে পাচ্ছেন যাত্রীরা।
পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য ভারতীয় রেলের নয়া উপহার বলা যায় এই ভিস্তাডোম পরিষেবা।
তবে সদ্য চালু হওয়া এই ভিস্তডোম পরিষেবা আরেকটু হলেই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছিল।
টুরিস্ট স্পেশাল ভিস্তাডোমের মুখোমুখি ছানা সহ মা হাতি। কোনওরকমে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন রেল চালক। তাতেই শেষমূহূর্তে রক্ষে পায় দু'জনে।
ঘটনার ভিডিও শেয়ার করেছে রেল দফতর।
সেবকের জঙ্গল চিরে চলে গেছে রেল লাইন। সেই লাইনের গুলমা এলাকায় রবিবার সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিট নাগাদ ছানা নিয়ে রেল লাইন পার হচ্ছিলো মা হাতি।
আর ঐ সময় আলিপুরদুয়ার থেকে নিউ জলপাইগুড়ির দিকে ছুটে আসছিলো টুরিস্ট স্পেশাল ভিস্তাডোম ট্রেন।
গুলমার কাছাকাছি আসতেই লক্ষ করেন ট্রেন চালক। তৎক্ষনাৎ ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে ট্রেন দাড় করিয়ে দেন । মা ও ছানা রেললাইন পেরিয়ে গেলে ফের চালু হয় ট্রেন।
প্রসঙ্গত গত ২৬ অগাস্ট এই লাইনেই দাড়িয়ে ছিল হাতির দল। সেদিনও চালকের তৎপরতায় প্রানে বাচে বুনো হাতির দল। এরপর ফের এই ধরনের ঘটনা। এই নিয়ে গত দু'সপ্তাহে এই এলাকায় এই ধরনের দুটি ঘটনা নজরে এলো।
জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়ি সংলগ্ন মরাঘাট এলাকায় ২০১০ সালে রেললাইন পার হতে গিয়ে একসঙ্গে সাতটি হাতির মৃত্যু হয়েছিল। মর্মান্তিক সেই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে বন দফতর এবং রেলমন্ত্রক। দফায়-দফায় আলোচনার পর জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়া বিভিন্ন রেলপথে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করে গাড়ি চালাবার প্রস্তাব মেনে নেয় রেল। কিন্তু এরপরেও বেশ কয়েকবার রেলে কাটা পরে হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যদিও তার চেয়েও বেশি বার চালক এবং সহকারি চালকের তৎপরতায় রেলে কাটা পরার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে হাতির দল।