প্রেমিকের টানে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছেন সীমা হায়দার। হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেছেন। এ দেশেই থাকতে চান। শচিন ও সীমার প্রেম নিয়ে জোর চর্চা চলছে দেশে। তেমনই এক প্রেমের আখ্যান শিলিগুড়িতে। প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে এসেছেন এক তরুণী। শিলিগুড়ির প্রধাননগর এলাকায় ঘরও বাঁধেন। তবে সংসার সুখের হয়নি। প্রেমে প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ ওই তরুণীর। অবৈধভাবে ভারতে আসার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তরুণীর নাম সপলা আখতার। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। নেট মাধ্যমে বাংলার এক তরুণের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সেই পরিচয় গড়ায় প্রণয় সম্পর্কে। ওই তরুণের সঙ্গে থাকতে ঘর ছেড়ে এপারে চলে আসেন সপলা। বেআইনিভাবে রাজ্যে ঢোকেন। শিলিগুড়ির প্রধান নগর এলাকায় থাকতেও শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন! সপলা জানতে পারেন, যে প্রেমিকের টানে তিনি ঘর ছেড়েছেন সে-ই তাঁকে বিক্রি করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। নিজেকে বাঁচাতে পালিয়ে যান সপলা।
জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই মাস আগে সপলা বাংলাদেশের যশোর হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। প্রধাননগর এলাকায় প্রেমিকের সঙ্গে সংসার পাতেন। নিজে বিউটিশিয়ানের কাজও করছিলেন। একদিন তিনি জানতে পারেন, তাঁকে নেপালে বিক্রি করে দেওয়ার ছক কষছে পরিবার। পালিয়ে গিয়ে শিলিগুড়ি জংশন এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। সেই সময় তাঁকে দেখে সন্দেহ হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার। বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে আসার কথা স্বীকার করে নেন সপলা।
তার পর তরুণীকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শিলিগুড়ি আদালতে সপলার জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে ওই প্রেমিকের। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলশ চতুর্বেদী বলেন,'কীভাবে ও কোথা থেকে ওই তরুণী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এপারে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যোগাযোগ করা হয়েছে বিএসএফের সঙ্গে।'