Advertisement

ইলিশে 'স্বয়ংসম্পূর্ণ' রাজ্য, বললেন মমতা, বাজার কী বলছে? খোঁজ নিল bangla.aajtak.in

'উন্নয়নের পাঁচালি' থেকে একাধিক বিষয়ের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাজ্য ইলিশের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কী এ রাজ্যে চাহিদা মেটাতে আমদানি করা ইলিশের প্রয়োজন নেই? খোঁজ নিল Aajtak.in

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ইলিশে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজ্যমুখ্যমন্ত্রীর দাবি ইলিশে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজ্য
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 02 Dec 2025,
  • अपडेटेड 4:19 PM IST
  • মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাজ্য ইলিশের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
  • তবে কী এ রাজ্যে চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশি ইলিশের প্রয়োজন নেই?
  • বাজারে ইলিশের চাহিদা নিয়ে খোঁজ নিল Aajtak.in

১৫ বছরের সরকারি খতিয়ান তুলে ধরতে মঙ্গলবার বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন থেকে রাজ্যের বর্তমান উন্নতির চিত্র তুলে ধরেন তিনি। 'উন্নয়নের পাঁচালি' থেকে একাধিক বিষয়ের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাজ্য ইলিশের ক্ষেত্রে  স্বয়ংসম্পূর্ণ। এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কী এ রাজ্যে চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশি ইলিশের প্রয়োজন নেই? খোঁজ নিল  Aajtak.in

কাকদ্বীপ ফিশারম্যান অ্য়ান্ড ফিস ট্রেডারস অ্যাসোশিয়সনের সভাপতি বিজন মাইতি এপ্রসঙ্গে বলেন, "আগের তুলনায় এরাজ্যে ইলিশ উৎপাদনের পরিমাণ কমেছে। মাত্র বছর ৬ আগেও যে পরিমাণ ইলিশ সমুদ্রে পাওয়া যেত, তার মাত্র ৫০ শতাংশ ইলিশ এখন পাওয়া যাচ্ছে।"

পরিসংখ্যান দিতে গিয়ে বিজন মাইতি জানান, ২০১৪-১৫ সালে এ রাজ্য থেকেই উৎপাদিত ইলিশের পরিমাণ ছিল ৯০ হাজার টনেরও বেশি। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিমাণ ১৫ হাজার থেকে ১৮ হাজার টনে এসেই আটকে যাচ্ছে। সমুদ্রে মাছের অপ্রতুলতার কারণেই মৎস্যজীবীরা বেশি মাছ ধরতে পারছেন না। ফলে নির্ভর করতে হচ্ছে বাইরের ইলিশের উপর।

দীঘা ফিশারম্যান অ্য়ান্ড ফিস ট্রেডারস অ্যাসোশিয়সনের সভাপতি শ্যামসুন্দর দাস এ প্রসঙ্গে বলেন, "বঙ্গোপসাগর থেকে যে পরিমাণ ইলিশ বর্তমানে ধরা হচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। আর সেই কারণেই আমরা বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপর নির্ভর করি। বর্তমানে আমাদের উৎপাদন অনেক কম। আমদানির ক্ষেত্রে মূলত বেশি পরিমাণ ইলিশ এখন আসে মায়ানমার থেকেই।"

মাছের চাহিদার প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে মানিকতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বাবলু দাস বলেন, "বাজারে এ রাজ্যের যে মাছ পাওয়া যায়, তা বেশিরভাগই ছোট ইলিশ মাছ। বাংলার এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ কার্যত চোখেই পড়ে না। কিন্তু বড় মাছের চাহিদা বাজারে রয়েছে। আর এই মাছের জন্য বাইরের মাছের উপরেই নির্ভর করতে হবে। যদি কখনও মায়ানমার বা বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি না করা যায়, তখন ছোট ইলিশ মাছ খেয়েই চাহিদা মেটাতে হবে। কিন্তু বড় মাছের চাহিদা রয়েই যাবে। এমনকী বড় মাছ না পাওয়া গেলে দাম বাড়তে পারে ছোট ইলিশেরও।"  

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement