জেলে ঠিক এক বছর পূর্ণ হল। আর তার পরের দিনই প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সরাসরি আর্জি জানালেন পার্থ। সংবাদমাধ্যমের কাছে বললেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করব, নির্দোষ প্রমাণিত করতে হলে যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড(সমানাধিকার) দরকার আমি সেটা চাই।' জেলযাত্রার পর থেকে এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর কাছে সাহায্য চাইলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। আলিপুর কোর্ট থেকে বের হওয়ার পথে, গাড়িতে বসে তিনি বলেন, 'আমি চাই আমার মুক্তি হোক। আমি অবিলম্বে জেল থেকে বের হতে চাই।' পার্থ বলেন, 'আমি নির্দোষ আমি নিয়োগকর্তা নই, আমি সুপারিশ কর্তা নই, আমি কোনও ব্যাপারের সঙ্গে ছিলাম না।'
কিন্তু সিবিআই বলছে আপনি সবেতে আছেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, 'আরে! কে কী বলছে আমার জানার দরকার নেই। অনেকে অনেক কথা বলে। অনেক কথা বলেই কিন্তু একদিন এক থেকে আজ আমরা ক্ষমতায় এসেছি।'
সোমবার সকালে আলিপুর কোর্টে প্রবেশের সময়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'কে কী বলল, আমার যায় আসে না। আমাকে জোর করে আটকে রেখেছে।'
গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির এক বছর পার হয়েছে। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তৃণমূলের একুশের সভার পরের দিনই পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুই ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মেলে। টাকা বের করার সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর বছর ঘুরেছে। গিয়েছে দলের পদ, মন্ত্রীত্ব। একাধিকবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে সরাসরি কখনও সাহায্যের আবেদন জানাননি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেন মুখ্যমন্ত্রী। দল থেকে বরখাস্ত করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গ্রেফতারের মাস খানেক পরেও তিনি দলের পাশে আছেন বলে জানান পার্থ। তিনি জানিয়েছিলেন, 'দলের সঙ্গে আছি, দলের সঙ্গেই ছিলাম।'