তৃণমূলের যোগ দিলেন রাজ্যের একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ জুন বিহারের পটনায় যখন বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে তার আগে বায়রনের দলবদল কি প্রভাব ফেলবে জাতীয় রাজনীতিতে? সেই প্রশ্নের সঙ্গে যা ঘটল, তিন মাসেই ভেঙে গেল 'সাগরদিঘি মডেল'। অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, সাগরদিঘির হার মেনে নিতে পারছিল না তৃণমূল। জনগণের রায়কে পদাঘাত করলেন বায়রন। তার পাল্টা বায়রনের দাবি, কংগ্রেসের ভোটে তিনি জেতেননি। এটা তাঁর ব্যক্তিগত ভোট। প্রয়োজনে আবার ভোটে দাঁড়াতে পারেন।
তিন মাস আগে সাগরদিঘিতে জিতেছিলেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। সাগরদিঘি বাম-কংগ্রেসের মরা গাঙে জোয়ার এনেছিল। তিন মাসেই সাগরদিঘিতে ভাটার টান। বায়রনকে বেইমান বলছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন,'ভোটে হার মেনে নিতে পারেননি মমতা-অভিষেক। সব রকমের চেষ্টা করেছে এই জয়কে বানচাল করতে।'
অধীরের আক্রমণের পাল্টা দিয়েছেন বায়রন বিশ্বাস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে জানিয়ে দিলেন,'আমি যে জিতেছি তাতে কংগ্রেসের কোনও অবদান ছিল না। আমি তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। টিকিট পাইনি বলে কংগ্রেসে যাই। বরাবরই আমি তৃণমূলের লোক। আমি যদি বিশ্বাসঘাতকতা করি, সেই জবাব দেবেন জনগণ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আগামী দিনে তৃণমূলের টিকিটে আরও বেশি ভোটে জিতব। বিজেপিকে রুখতে গেলে একমাত্র মঞ্চ তৃণমূল।' পদত্যাগ করে কি আপনি নির্বাচনে ফের লড়বেন? বায়রনের জবাব, 'যদি দরকার পড়ে করব। এটা কংগ্রেসের ভোট নয়। ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেছি, তাই মানুষ জিতিয়েছে। আবার ভোটে দাঁড়ালে জিতব।'
বায়রন যে ঘাসফুলের টিকিট চেয়েছিলেন সেই দাবিতে শিলমোহর দিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,'বায়রন বিশ্বাস নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগে থেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন। তৃণমূলের পরিবারেরই ছেলে বায়রন। কিন্তু যে কোন কারণেই হোক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি তখন। ভোটের পর একাধিকবার যোগাযোগ করেছিলেন। অসুস্থ ছিলেন। সুস্থ হয়ে আমাকে ফোন করেছিলেন গতকাল। তার পর মুর্শিদাবাদ থেকে ঘাটালে এসে যোগদান করলেন তৃণমূলে।'