Advertisement

Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে TMC নেতার পোলট্রি ফার্ম-বাড়িতে আগুন, প্রতারণার অভিযোগ স্বীকার বিধায়কের

বুধবার রাতে শিবুর অন্য একটি পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে শাহজাহানদের গ্রেফতার করার দাবিতে পথে নেমেছিলেন মহিলারা। তাঁরা নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলেই দাবি করেছিলেন।

SandeshkhaliSandeshkhali
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 09 Feb 2024,
  • अपडेटेड 3:04 PM IST
  • উত্তপ্ত সন্দেশখালি।
  • দফায় দফায় বিক্ষোভ মহিলাদের।

তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ সন্দেশখালিতে। যার নেতৃত্বে মূলত গ্রামের মহিলারাই।  বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও তাই অব্যাহত বিক্ষোভ। সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে শিবু হাজরার তিনটি পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। তাঁর বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গ্রামের গরিব চাষিদের জমি কেড়ে নিয়ে মেছো ভেড়ি তৈরি করেছে শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দার। কিন্তু লিজের টাকা তিন বছর আটকে রেখেছে তারা। দুজনকে গ্রেফতারির দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা, লাঠি ও বাঁশ নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই ঘটনায় সন্দেশখালি বিধানসভার বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন,'সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়ে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আমি সবাইকে বলব, আপনারা শান্ত থাকুন।' উত্তম সর্দার তিন বছর লিজের টাকা চাষিদের দেননি বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন সুকুমার। তাঁর আশ্বাস,'আমরা বলেছি, তাঁদের তিন বছরের লিজের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেব'।

বুধবার রাতে শিবুর অন্য একটি পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে শাহজাহানদের গ্রেফতার করার দাবিতে পথে নেমেছিলেন মহিলারা। তাঁরা নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলেই দাবি করেছিলেন। শুক্রবার সকালে আবার কাটারি, দা, বাঁশ, লাঠি হাতে পথে নামেন মহিলারা। অভিযোগ, ভষ্মীভূত শিবুর ওই ফার্ম তাঁদের জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছিল। মহিলারা জানান, তাঁদের স্বামীদের জোর করে কাজ করতে বাধ্য করত। প্রাপ্য পারিশ্রমিকও দিত না। টাকা চাইতে গেলে মারধর করা হত। 

বলে রাখি, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। শাহজাহানের অনুগামীরা ঘিরে ধরেছিল ইডি আধিকারিকদের। তাঁদের মারধরও করা হয়। তার পর থেকে বেপাত্তা শাহজাহান। তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে এখনও শাহজাহান নিখোঁজ। তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, শাহজাহান এলাকাতেই আছেন। পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement