উত্তপ্ত সন্দেশখালি। এবার এই ঘটনায় পথে নামল বিজেপি। সোমবার ১৪৪ ধারা ভেঙে সন্দেশখালি যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে রাজ্যপালকেও পদক্ষেপ করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যপাল ব্যবস্থা না নিলে সোমবার বিজেপি বিধায়করা ১৪৪ ধারা ভাঙবেন বলে জানালেন শুভেন্দু।
এ দিন বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সন্দেশখালি-কাণ্ডে রাজ্যপাল যাতে পদক্ষেপ করেন, সেই আর্জি নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে রাজ্যপালের দেখা পাননি। সিভি আনন্দ বোস বর্তমানে কেরলে আছেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন,'নন্দীগ্রামে সিপিএমের চটি পরা ক্যাডাররা যা করেছিল, সন্দেশখালিতে একই কায়দায় কাজ করছেন রাজীব কুমার, মনোজ বর্মারা। রাজ্যপাল কেরলে আছেন। তিনি ফিরলে ৫০ জনের বেশি বিজেপি বিধায়কের আবেদন নিয়ে যাব। এসসি, এসটি মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে তিনি বাধ্য। ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করুন। ইন্টারনেট চালু করুন। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন।'
সেই সঙ্গে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি,'জনগণের রোষকে সরকারি ক্ষমতা দিয়ে পদদলিত করতে দেবে না বিজেপি। সোমবার বিধানসভায় জড়ো হয়ে সন্দেশখালি যাব। ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে গেলাম। সোমবার ১৪৪ ধারা ভাঙব। কত ক্ষমতা আছে দেখতে চাই! আপনি কিছু না করলে সিঁড়িতে বসে লাগাতার ধর্না দেব।'
তার আগে এ দিন রাজ্য বাজেট ও সন্দেশখালি পরিস্থিতি নিয়ে উত্তাল হয় বিধানসভা। ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভা থেকে মিছিল করে তাঁরা যান রাজভবনে। সেখানে রাজ্যপালের দফতরে সন্দেশখালি নিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। রাজ্য বাজেট নিয়ে আলোচনার সময় এ দিন শুভেন্দুকে চোর বলে নিশানা করেন তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিং। পাল্টা দেন শুভেন্দু অধিকারীও। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভার অধিবেশন। দুজনকেই সতর্ক করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।