বায়রন বিশ্বাসকে দলে নিয়ে অধীর চৌধুরীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারীকে। নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানো নিয়ে প্রতিটি সভা-সমাবেশেই কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের ফল নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও সেই মামলা চলছে। সেই প্রসঙ্গেই নাম না করে অভিষেক বলেন,'ক্ষমতা থাকলে এখনই ভোট হোক। আদালত রায় দিলে এখনই যদি ভোট হয় তবে ৫০ হাজারে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস।'
বৃহস্পতিবার চণ্ডীপুর থেকে ২০ কিলোমিটার রাস্তায় পদযাত্রা করে নন্দীগ্রামের সভাস্থলে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত সাড়ে ১০টা বেজে যায়। তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বলেন,'গদ্দার পারবে ২০ কিলোমিটার হাঁটতে? পারবে রাত সাড়ে ১০টায় এমন সভা করতে?'
ইডি-সিবিআই দিয়ে অপব্যবহারের অভিযোগও করেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়,'এ মাটি গদ্দারের মাটি নয়, বেইমানের মাটি নয়। নন্দীগ্রামের মাটি লড়াইয়ের মাটি। শুধু নন্দীগ্রাম নয়, বিজেপি-দূষণ মুক্ত হবে দেশ। মিজোরাম, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়– ৫ রাজ্যের ভোটে বিজেপি গোহারা হবে। এই দেশ থেকে বিদায় নেবে বিজেপি। ২৪-এই বিদায় নেবে বিজেপি। আমরা ২১-এ বাংলায় খুঁটি পুজো করেছিলাম। ২৪-এ দিল্লিতে বিসর্জন হয়ে যাবে।'
তিনি আরও বলেন,'সিবিআই ইডি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। আপনারা মেরুদণ্ড শক্ত করে লড়াই করুন। ও আর ঘর থেকে বেরোতে পারবে না। আর ও এখানে এসে ভয় দেখালে ঘিরে রেখে আমায় খবর দেবেন। কলকাতা থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে চলে আসব। আপনাদের পাশে থাকব। আমি এক কথার ছেলে। আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আপনাদের পাশে থাকব।'
সদ্য বায়রন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বায়রনকে পাশে বসিয়ে অধীরের দল ভাঙানোর অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে অভিষেক দাবি করেছিলেন, বোতাম টিপলে কংগ্রেসের ৪ সাংসদ তৃণমূলে চলে আসবেন। এমনকি বাইরের রাজ্য়ের সাংসদরাও যোগ দেবেন। বহরমপুরে ভোটে দাঁড়ানো নিয়েও অভিষেক বলেছিলেন, দল চাইলে তিনি প্রার্থী হতে রাজি।