মুর্শিদাবাদের পর এবার বীরভূম। ১৯ জন বাংলাভাষিকে ওড়িশায় প্রশাসনিকভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখার অভিযোগ উঠল। যার জেরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে চরম সমস্যায় আটক হওয়া মানুষগুলো। একইসঙ্গে দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে আটক হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের। অভিযোগ, শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার জন্য ওড়িশার বালেশ্বর জেলার রিমনা থানার ওসি বীরভূমের উনিশ জন ফেরিওয়ালাকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডেকে পাঠান। গত ২৫ জুন সকাল ৯টা নাগাদ থানায় যাওয়ার আগে তাঁরা শেষবারের মতো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। থানায় যাওয়ার পর তাঁদের কাছ থেকে কাগজপত্র এবং মোবাইল ফোন কেড়ে জমা নেওয়া হয়। তারপরেই বালেশ্বরের ডিটেনশন ক্যাম্পে তাঁদের রাখা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাঁদের কোনওভাবেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরে নলহাটি থেকে একজন ওড়িশার বালেশ্বরে যান। কিন্তু তাঁকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে দেওয়া হয়নি বা কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। যার ফলে ফিরতে বাধ্য হয় তিনিও।