5G মানে ফিফত জেনারেশন বা ৫ম প্রজন্ম। টেলিকম জগতে, এই শব্দটি এই সময়ে সবচেয়ে বড় চর্চার বিষয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আজ শুরু হয়েছে 5G স্পেকট্রাম-এর নিলাম।
5G আসার পরে টেলিকম জগতে অনেক কিছুর পরিবর্তন হতে চলেছে। আম্বানি এবং আদানি উভয়েই এতে বিড করছে। সেই সঙ্গে টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎও পরিষ্কার হয়ে যাবে এই স্পেকট্রাম নিলামের পর।
এই নিলামে দেশের চারটি কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। Jio, Airtel এবং Vi ছাড়াও গৌতম আদানির কোম্পানি আদানি ডেটা নেটওয়ার্কসও এই নিলামে যোগ দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই OnePlus, Redmi, Xiaomi, Realme এবং Samsung এর মতো বেশিরভাগ ব্র্যান্ডেরই বাজারে 5G স্মার্টফোন রয়েছে। এগুলির দামও মোটামুটি নাগালের মধ্যেই। কিন্তু এখনই 5G ফোন কি কেনা উচিত বা এখন 5G ফোন কিনলে কি কোনও বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে?
প্রথমেই একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে, ভারতে এখনও 5G নেটওয়ার্ক চালুই হয়নি। দেশে 5G নেটওয়ার্ক চালু হতে আরও ৬ মাস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। তা-ও আপনি যদি একটি 5G ফোন কেনার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আগে নিশ্চিত হতে হবে যে ফোনটি ৫টির বেশি নেটওয়ার্ক ব্যান্ড সমর্থন করে কিনা৷
যদি এই শর্ত পূরণ হয় তাহলে আপনাকে ফোনে আপগ্রেড করার বিষয়ে চিন্তা করতে হবে না। যদি দেশজুড়ে স্বাভাবিত ছন্দে 5G নেটওয়ার্ক পুরোপুরি চালু হতে ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগে, সেক্ষেত্রে আপনি 4G ফোন দিয়েও কাজ চালাতে পারেন।
যদি আগামী ৬ মাসের মধ্যেও 5G নেটওয়ার্ক চালু হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আপনার শুধুমাত্র 5G দেখলেই চলবে না, এর ক্যামেরা, ডিসপ্লে এবং ব্যাটারির মতো বৈশিষ্টগুলিও দেখতে হবে।
ভারতে 5G চালু হলে কি 4G-র যুগ শেষ হবে?
এর উত্তর হল, না। আসলে, 5G নেটওয়ার্ক লঞ্চ হওয়ার পর 4G নেটওয়ার্কের চাহিদা ধীরে ধীরে কমবে। তবে 4G নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাবে না। সুতরাং, আপনি যদি এখন একটি 4G ফোন কেনেন, তাহলে সেটি দিয়েও আপনি আগামী ২-৩ বছর কাজ চালাতে পারবেন।