পরীক্ষামূলকভাবে দেশে ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন চালু করেছে আরবিআই। বর্তমান যুগে চর্চার অন্যতম বিষয়-ক্রিপ্টোকারেন্সি। গত ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন করে অনেকেই ধনী হয়েছেন। আবার অনেকে ক্রিপ্টোর লেনদেন করে সব হারিয়েছেন। ক্রিপ্টোয় বড় কেলেঙ্কারি অভিযুক্ত হয়েছিলেন রুজা ইগনাটোভা৷ তিনি ক্রিপ্টো-কুইন নামেও পরিচিত ছিলেন। ক্রিপ্টোকারেন্সির জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করেছিলেন রুজা।
২০১৪ সালে চালু হয়েছিল OneCoin। তাঁর কথায় অনেকেই তাতে বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। নিজের ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছিলেন পিএইচডি করা রুজা ইগনাটোভা। তখন ছিল ডিজিটাল মুদ্রার প্রাথমিক দিন। ওই মুদ্রার নাম ছিল OneCoin।
জোরকদমে প্রচার করেছিলেন ক্রিপ্টো কুইন রুজা। OneCoin কিনতে মানুষকে পরামর্শ দিতেন। তাঁর কথায় প্রায় দু'বছর ধরে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন অনেকে।
রুজা মানুষকে আশ্বস্ত করেছিলেন,বিটকয়েনকে ছাপিয়ে যাবে OneCoin। এ জন্য একাধিক সেমিনারও করতেন রুজা। বড় বড় ম্যাগাজিনে তাঁর বিজ্ঞাপন খবর আকারে প্রকাশিতও হয়েছিল। সেগুলি সত্যি খবর বলেই ধরে নিয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
ওয়ানকয়েনের সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৪০ ইউরো। সর্বোচ্চ দর ১৮ হাজার ইউরো৷ ভবিষ্যতে OneCoin-কে ডলার বা ইউরোতে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল।
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করেন এমন অনেকে ওয়ান কয়েনের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা করতে শুরু করেন।
রুজা ইগনাটোভার কাছে তাঁদের প্রশ্নের কোনও উত্তর ছিল না। বরং ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালাতেন।
পরে জানা গিয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি কেলেঙ্কারি হয়েছে।
বুলগেরিয়ার বাসিন্দা রুজা ইগনাতোভা এখনএফবিআই-এর শীর্ষ ১০ মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে।
OneCoin আসলে ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর নির্ভর ছিল না। Blockchain হল সেই প্রযুক্তি যার দ্বারা বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি কাজ করে। তাই নতুন কোনও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে তা যাচাই করার।