দিল্লি থেকে মেরঠ পর্যন্ত দ্রুততায় চলছে র্যাপিড ট্রানজিট নির্মাণের কাজ। ২০২৪ সালের আগে তৈরি হবে এই প্রকল্প। মনে করা হচ্ছে, ২০২৩ সালের মধ্যে প্রথম পর্যায় চালু হয়ে যাবে। অত্যাধুনিক কোচের ডেলিভারি ৭ মে শুরু হবে। যা ১২ মে পৌঁছবে গাজিয়াবাদে।
এনসিআরটিসি-র এমডি বিনয় কুমার সিং বলেন,'আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। শিগগিরই এই কোচগুলি জুড়ে সম্পূর্ণ ট্রেনের তৈরি হবে। কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। সাধারণ মানুষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব র্যাপিড রেলে চড়তে পারেন সেই চেষ্টা চলছে। আরও উন্নত সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।'
ভারতের প্রথম RRTS করিডরের প্রথম ট্রেনসেট তৈরি হয়ে গিয়েছে। ৭ মে ভারত সরকারের আবাসন ও নগর সংক্রান্ত মন্ত্রকের সচিবের উপস্থিতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠিত সেটি NCRTC-এর কাছে হস্তান্তর করা হবে। 'মেক ইন ইন্ডিয়া' কর্মসূচির অধীনে এই অত্যাধুনিক RRTS ট্রেনগুলি গুজরাটের সাভলিতে অ্যালস্টমের কারখানায় ভারতে 100% তৈরি করা হচ্ছে।
NCRTC-এর কাছে ট্রেনের কোচগুলি তুলে দেবে নির্মাণকারী সংস্থা অ্যালস্টম। বড় ট্রলারে নিয়ে যাওয়া হবে দুহাইয়ের ডিপোতে। গাজিয়াবাদে দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মেরঠ আরআরটিএস করিডর দ্রুত গতিতে তৈরি করা হচ্ছে। এই ডিপোতে ট্রেনগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে।
আগামী শনিবার অ্যালস্টম (আগের বম্বার্ডিয়ার)-র কারখানায় হস্তান্তরের অনুষ্ঠান হতে চলেছে। RRTS ট্রেনসেটের চাবি NCRTC-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে। ভারতের প্রথম RRTS ট্রেনের কী কী রয়েছে তা ১৬ মার্চ দেখানো হয়েছিল। প্রতিঘণ্টায় ট্রেনের গতি ১৮০ কিলোমিটার। ১৬০ কিমি/ঘণ্টায় দৌড়তে সক্ষম। প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ১০০ কিমি গতির RRTS ট্রেন ভারতের সবচেয়ে দ্রুততম।
এই অত্যাধুনিক RRTS ট্রেনগুলিতে 2x2 ট্রান্সভার্স কুশন সিটিং, প্রশস্ত দাঁড়ানোর জায়গা, লাগেজ রাখার জায়গা, সিসিটিভি ক্যামেরা, ল্যাপটপ, মোবাইল চার্জিং সুবিধা, ডায়নামিক রুট ম্যাপ, স্বয়ংক্রিয় আলো এবং হিটিং ভেন্টিলেশন সিস্টেম আর এয়ার কন্ডিশনার রয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আরআরটিএস ট্রেনে মহিলা যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকবে। একটি করে প্রিমিয়াম ক্লাসের কোচ থাকবে।
সাওলিতে অ্যালস্টমের কারখানায় প্রথমে আরআরটিএস করিডরের জন্য মোট ২১০টি কোচ উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মেরঠ করিডরে আঞ্চলিক রেল পরিবহণ এবং মেট্রোর জন্য ট্রেনসেটগুলিও রয়েছে। প্রাথমিক ট্রায়াল রান চলতি বছরের শেষ নাগাদ শুরু হতে পারে। ২০২৩ সালের মধ্যে সাহিবাবাদ থেকে দুহাইয়ের মধ্যে ১৭ কিলোমিটার ট্রেন চলাচল করবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পুরো করিডরে ট্রেন চালানোর লক্ষ্যমাত্রা।