হোয়াটস অ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ করার শেষ দিন ১৫ মে। যদিও এই প্রাইভেসি পলিসি জানুয়ারি মাসের শুরুতেই প্রকাশ্যে নিয়ে আসে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফে বলা হয় ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ করুন না করলে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়া হবে।
কিন্তু নতুন প্রাইভেসি পলিসির বিস্তারিত বিবরণ পড়ে ইউজাররা বেঁকে বসেন। আর সেই সময়ে ইউজারদের হাতে রাখতে প্রাইভেসি পলিসি কার্যকরের দিন পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
এখন হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে তারা নতুন প্রাইভেসি পলিসি তে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। এবারের প্রাইভেসি পলিসিতে থাকছে দুটি অপশন।
হোয়াটস অ্যাপ-এর একটি এফএকিউ পেজ জানিয়েছে যে , আপনাদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হলো নতুন পরিববর্তনগুলি খতিয়ে দেখা ও বোঝার জন্যে। এর জন্যে আমরা কার্যকরী সময় ১৫ই মে পর্যন্ত বাড়িয়েছি।
সুতরাং ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য যে নতুন নীতি ঘোষণা (‘প্রিভেসি পলিসি’) করেছে হোয়াটসঅ্যাপ, আগামী ১৫ মে-র মধ্যে তাতে সম্মতি জানাতেই হবে ব্যবহারকারীদের।
যাঁরা সম্মতি জানাবেন না ১৫ মে-র পর তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট অকেজো (ইনঅ্যাক্টিভ) হয়ে যাবে। তার ৪ মাস পর (১২০ দিন) সেই অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি মুছে দেওয়া (‘ডিলিট’)হবে।
কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে কী হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ এ নিয়ে সম্প্রতি দেশের শীর্ষ আদালত হোয়াটসঅ্যাপকে নোটিস দিয়ে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত জানাতে বলেছে।
নয়া নীতিতে সম্মতি না জানালে ব্যবহারকারীদের কী কী মাশুল গুণতে হবে নিজেদের আলাদা একটি পেজে পেজেও তা সবিস্তারে জানিয়ে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।
এক্ষেত্রে প্রথম অপশনটি হল আপনি যদি এই প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ না করেন তবে আপনি কল এবং নোটিফিকেশন পাবেন কিন্তু আপনি কাউকে কোনও মেসেজ পাঠাতে পারবেন না।
যদি তখনও আপনি পলিসি গ্রহণ না করেন তাহলেও আপনার অ্যাকাউন্ট সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করা হবে না। তবে আপডেট পলিসি গ্রহণ না করা অবধি মেসেজ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন। ক্ষণস্থায়ী সময়ের জন্যে আপনারা ফোন ও নোটিফিকেশন পাবেন। কিন্তু হোয়াটস অ্যাপে আর মেসেজ পাঠাতে বা পড়তে পারবেন না।
হোয়াটস অ্যাপ-এর ওই এফএকিউ পেজটি জানিয়েছে যে কোনো কোন বিষয়ে ব্যবহারকারীরা হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারে ছাড় পাচ্ছেন। সেই অনুযায়ী ১৫ই মে-এর পরও ব্যবহারকারীরা আপডেট পলিসি গ্রহণ করতে পারবেন। নিষ্ক্রিয় ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে কার্যকর থাকবে আপডেট পলিসি।
১৫ই মে-এর আগে ব্যবহারকারীরা চ্যাট হিস্ট্রি এক্সপোর্ট করতে পারবেন এবং অ্যাকাউন্টের তথ্য রিপোর্ট ডাউনলোড করতে পারবেন। এর মধ্যে যাঁরা এই নীতি মেনে নেবেন না, তাঁরা আর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না।