নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল পাস না হওয়া পর্যন্ত এটি নতুন প্রাইভেসি পলিসির জন্য জোর দেবে না। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকের হয়ে সওয়াল করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট হরিশ সালভে। তিনি আদালতকে জানান, নতুন প্রাইভেসি পলিসি আপাতত স্থগিত রয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ এটাও জানিয়েছে, যেসমস্ত গ্রাহক নয়া প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণ করবেন না, তাদরে অ্যাপ পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। শুনানির সময়ে হরিশ সালভে জানান, কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের নয়া পলিসি বন্ধ করতে বলেছে। তবে ডেটা সুরক্ষা বিল পাশ না হওয়া পর্যন্ত নয়া প্রাইভেসি পলিসি লাঘু হবে।
আইনজীবী জানান, আমরা নয়া পলিসি আমরা হোল্ডে রাখব। গ্রাহকদের পলিসি মানতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
তিনি আরও বলেছেন যে ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক মনে করে যে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসি তথ্য প্রযুক্তি বিধি ২০১১ এর বিরুদ্ধ। ওই মন্ত্রকের নোটিশের জবাবে বলা হয়েছে যে হোয়াটসঅ্যাপ কিছু সময়ের জন্য ব্যবহারকারীর কার্যকারিতা সীমাবদ্ধ করবে না, তবে ব্যবহারকারীদের কাছে আপডেটগুলি প্রদর্শন করে চলবে। ডেটা সুরক্ষা বিল প্রবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতি অব্যাহত থাকবে।
হাইকোর্ট হোয়াটসঅ্যাপকে জিজ্ঞাসা করে যে, আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে আপনারা ডেটা সংগ্রহ করেন এবং এটি অন্যকে দিয়ে দেন। সম্মতি ছাড়া এটি করতে পারবেন না। অভিযোগ রয়েছে যে আপনারা ভারতের জন্য আলাদা নিয়ম চালু করেছেন। ভারত ও ইউরোপের জন্য কি আলাদা নীতি আছে?
জবাবে হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, আমরা সংসদ থেকে আইন না আসা পর্যন্ত কিছু করব না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সংসদ যদি আমাদের ভারতের জন্য একটি পৃথক নীতিমালা তৈরি করতে দেয়, তবে আমরা সেটিকেও তৈরি করব। যদি এটি না হয়, তবে আমরা এটির উপর বিবেচনা করব। সিসিআই সেই নীতি পরীক্ষা করছে। সংসদ যদি আমাকে ডেটা ভাগ করে নেওয়ার অনুমতি দেয়, তবে সিসিআই কিছুই বলতে পারবে না।
হোয়াটসঅ্যাপের নয়া প্রাইভেসি পলিসি জানুয়ারিতে প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল। এটি ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করার কথা জানানো হয়েছিল। তবে প্রতিবাদের পরে এটি ১৫মে থেকে কার্যকর করা হয়েছিল।