5G-র স্পিড টেস্টেই ডেটা হু হু করে খরচ হচ্ছে। এমন অভিযোগ করছেন অনেক ইউজার। কয়েকদিন আগে এই নিয়ে ট্যুইটারে স্ক্রিনশটও ভাইরাল হয়। সেখানে দাবি করা হয়, 5G-র স্পিড টেস্ট করার সময় তাঁদের মোবাইল ডেটা বহুল খরচ হয়েছে। অনেকে এও দাবি করেছেন, শুধু মাত্র স্পিড টেস্ট করতে গিয়েই তাঁদের দেড়ে থেকে ২ GB ডেটা খরচ হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো, 5G আপনার ফোনে চালু হলে ডেটা খরচ বেশি হবে। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ভারতে এখনও পর্যন্ত ৫০০ বা ৩০০ MBPS স্পিড পাওয়া যাচ্ছে। যদি ৩০০ MBPS স্পিডও পাওয়া যায় তাহলে ডেটা বেশি খরচ হবে। কারণ, ডেটা হাঙ্গরি অ্যাপ। প্রতিটি ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা হাঙ্গরি অ্যাপ থাকে। ইন্টারনেট যেমন ব্যবহার করবেন সেই অনুযায়ী সেই সব অ্যাপগুলো ডেটা খরচ করাবে।
আরও পড়ুন : 'ফুটপাতে ঘুমোতাম, খাবার জোটেনি', বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন মিঠুন
তবে 4G-র থেকে 5G ডেটা বেশি খরচ করাবে এমনটা নয়। কোনও ছবি বা ভিডিও ডাউনলোড বা দেখার সময় 4G-র ক্ষেত্রে ডেটা যেমন খরচ হত এক্ষেত্রে তার থেকে বেশি হবে। কারণ, 5G-তে বেশি স্পিডে ডাউনলোড হবে তাই।
5G ব্যবহারের ফলে মোবাইলের ব্যাটারি লাইফের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ, 5G কলিং পরিষেবা যদি সম্পূর্ণরূপে শুরু না হয় তাহলে 4G ও 5G-র মধ্যে নেটওয়ার্ক ঘোরাফেরা করবে। এতে ব্যাটারির উপর প্রভাব পড়বে। 5G কলিং পুরোপুরি শুরু হয়ে গেলে আর এই সমস্যা থাকবে না।
যে সব দেশে 5G চালু হয়ে গেছে, সেই সব দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ,
5G-র ফলে ডেটার খরচ বাড়বে। যদি কেউ দিনে এক জিবি ডেটা ব্যবহার করে থাকেন, ৫জি আসার পর সেটাই দেড় থেকে দুই জিবি খরচ করাবে। কারণ এর স্পিড। ফলে বাড়বে খরচও।