EMI অপশন এখন বেশিরভাগ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং রিকেল দোকানে উপলব্ধ। আপনি সহজেই EMI তে স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক আইটেম কিনতে পারবেন। আপনি এই প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক আইটেমগুলি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে তিন থেকে ৩৬ মাসের EMI-তে কিনতে পারেন৷ এই অফারটি ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডে পাওয়া যাবে।
বেশিরভাগ ব্যাঙ্কই বার্ষিক ১২ থেকে ১৮ শতাংশ সুদের হারে EMI অফার করে। আপনি শুধুমাত্র সেই আইটেমগুলির জন্য ইএমআই অপশন বেছে নিতে পারেন যেগুলি একক বিক্রেতার দ্বারা বিক্রি হয় অর্থাৎ শুধুমাত্র রিটেল দ্বারা কেনাবেচা হয়৷
এই EMI-এর খেলাটা আসলে কী?
আমরা একটি উদাহরণ দিয়ে EMI এর পুরো খেলাটি বুঝতে পারি। ধরুন আপনি Flipkart থেকে Apple iPhone 12 Mini কিনতে চান। এর 64GB স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট ৩৮,৯৯৯ টাকায় Flipkart Sale পাওয়া যাচ্ছে। আপনি যদি ১৩% এর সুদে ৩ মাসের ইএমআই প্ল্যান বেছে নেন, তাহলে আপনাকে প্রতি মাসে ১৩,২৮৩ টাকা দিতে হবে।
অর্থাৎ আপনি এই ফোনের জন্য মোট ৩৯,৮৪৯ টাকা দিচ্ছেন। এর মানে হল এই ফোনটি কিনতে আপনি ৮৫০ টাকা বেশি খরচ করেছেন। অন্যদিকে, আপনি যদি ১৫ % হারে ৩৬ মাসের ইএমআই-এর একটি প্ল্যান বেছে নেন, তাহলে আপনাকে প্রতি মাসে ১৩৫২ টাকা খরচ করতে হবে। অর্থাৎ এই ফোনের জন্য আপনাকে মোট ৪৮,৬৭২ টাকা খরচ করতে হবে। এটি থেকে স্পষ্ট যে আপনি ৩৮,৯৯৯ টাকার ফোনের জন্য অতিরিক্ত ৯,৬৭৩ টাকা খরচ করেছেন।
আপনার কি EMI-তে ফোন কেনা উচিত?
EMI-তে যেকোনো পণ্য কেনার সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। অনেক সময় সেলে আপনি No-Cost EMI অপশ পান, যা একটি ভাল বিকল্প। অন্যদিকে, স্মার্টফোন এমন একটি প্রডাক্ট, যার মূল্যায়ন সময়ের সাথে সাথে হ্রাস পাবে, তাই উচ্চ EMI হারে সেগুলি কেনা ভাল অপশন নয়। এর সাথে, ঋণ পরিশোধের ডিফল্টও আপনার ক্রেডিট স্কোরের উপর একটি বড় প্রভাব ফেলে। তাই বাজেট অনুযায়ী স্মার্টফোন বেছে নিলেই ভালো হবে।