Deepfake: ডিপফেক বিশ্বব্যাপী একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিতে বা কাউকে মানহানি করতে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু বলিউড অভিনেত্রী এই ডিপফেকের শিকার হয়েছেন। নির্বাচনে এর ব্যবহারের আশঙ্কা ওড়ানো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সরকার প্রস্তুতি শুরু করেছে। সূত্র অনুযায়ী, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ডিপফেক শনাক্তকরণ বিশেষজ্ঞদের একটি দল মোতায়েন করবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার উইং বিভাগ শীঘ্রই একটি ডিপফেক শনাক্তকরণ টুল নিয়ে আসছে। সূত্রের মতে, কাজ চলছে বৃহৎ পরিসরে, যেখানে বিপিআরডি (পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যুরো) এবং এমএইচএর আইফোরসি (ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার) বিভাগ গবেষণা করছে এবং ডিপফেক শনাক্তকরণ টুল তৈরি করছে।
মন্ত্রক সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশের প্রতিটি সাইবার থানায় পুলিশের কাছে এই শনাক্তকরণ টুল হস্তান্তর করা হবে। এর ভিত্তিতে, এটি ডিপফেক ভিডিও সনাক্ত করতে সহায়তা করবে।
ডিপফেক কী এবং সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
ডিপফেক ভিডিও এডিটিং বা ফটো মর্ফিংয়ের প্ল্যাটফর্ম। এগুলি জনসাধারণের ছবি এবং ভিডিওর সাহায্যে একটি মিথ্যা ভিডিও তৈরি করা হয়। এই ধরনের ভিডিওর উদ্দেশ্য হতে পারে কাউকে মানহানি করা বা ভুল তথ্য ছড়ানো।
এ ধরনের ভিডিও বিরোধীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচার এবং সামাজিক সংকট সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার উইং সূত্রে জানা গেছে, এই টুলটি শুধু ডিপফেক ভিডিওই শনাক্ত করবে না, যারা এগুলি তৈরি করেছে তাদের খুঁজে বের করতেও সাহায্য করবে। এই প্রথম সরকার ডিপফেক বন্ধ করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।
ডিপফেক এড়াতে বিশেষ টিপস
ডিপফেক ভিডিও তৈরি করতে, ব্যক্তির যতটা সম্ভব ফটো এবং ভিডিওর প্রয়োজন হয়। একজন ব্যক্তির যত বেশি ভিডিও এবং ফটো পাওয়া যায়, তত ভাল ডিপফেক ভিডিও তৈরি করা যায়।
তাই যে কাউকে নিজের ভিডিও এবং ফটো ভেবে চিন্তে দেওয়া উচিত। সোশ্যাল মিডিয়াতে ফটো এবং ভিডিও দেওয়ার গোপনীয়তা বজায় রাখুন। এছাড়াও, কোনও ভিডিও বিশ্বাস করার আগে সেই ভিডিওটি সত্যি কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন।