Advertisement

Chandrayaan 3: ব্যর্থতার পর কি জয়ের স্বাদ পাবে ভারতের চন্দ্রাভিযান? তাকিয়ে গোটা বিশ্ব

Chandrayaan-3: শ্রীহরিকোটার দুই নম্বর লঞ্চ প্যাড থেকে দুপুর ২.৩৫ নাগাদ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩। লিফ্ট-অফে সবুজ সংকেত দিয়েছে ISRO-র মিশন রিভিউ কমিটি। উত্ক্ষেপণ যাতে সফল হয়, তার সমস্ত শর্তই পূরণ করা হয়েছে। 

chandrayaan 3
Aajtak Bangla
  • ,
  • 13 Jul 2023,
  • अपडेटेड 6:40 PM IST
  • শ্রীহরিকোটার দুই নম্বর লঞ্চ প্যাড থেকে দুপুর ২.৩৫ নাগাদ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩।
  • । লিফ্ট-অফে সবুজ সংকেত দিয়েছে ISRO-র মিশন রিভিউ কমিটি।
  • কমিটির অনুমোদনের প্রেক্ষিতে লঞ্চ অথরাইজেশন বোর্ড চন্দ্রযান-৩ মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।

Chandrayaan-3 Launch: শুক্রবার চন্দ্রযান-৩ মিশনের সূচনা করতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উত্ক্ষেপন।

শ্রীহরিকোটার দুই নম্বর লঞ্চ প্যাড থেকে দুপুর ২.৩৫ নাগাদ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩। লিফ্ট-অফে সবুজ সংকেত দিয়েছে ISRO-র মিশন রিভিউ কমিটি। উত্ক্ষেপণ যাতে সফল হয়, তার সমস্ত শর্তই পূরণ করা হয়েছে। 

কমিটির অনুমোদনের প্রেক্ষিতে লঞ্চ অথরাইজেশন বোর্ড চন্দ্রযান-৩ মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।

পরিকল্পনামাফিক পুরো প্রক্রিয়াটি চললে শুক্রবার লঞ্চ হবে। চন্দ্রযান ৩-এর পেলোড নিয়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে LVM-3 রকেট। তবে সরাসরি চাঁদে যাবে না। প্রথমে পৃথিবীর বাইরে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ শুরু করবে চন্দ্রযান-৩। এরপর ধীরে ধীরে সেই উপবৃত্তাকার কক্ষপথের পরিধি বাড়াতে থাকবে। অল্প অল্প করে জ্বালানো হবে থ্রাস্টার। এভাবে পৃথিবী থেকে অল্প অল্প করে দূরত্ব বাড়াতে থাকবে চন্দ্রযান-৩। 

এভাবে যথেষ্ট দূরত্বে পৌঁছে যাওয়ার পর বড়সড় ম্যানুভার করবে চন্দ্রযান-৩। লাফ দিয়ে চাঁদ প্রদক্ষিণের কক্ষপথে প্রবেশ করে যাবে চন্দ্রযান। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চললে আগামী ২৩ অগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩।

LVM-3 একটি হেভি-লিফ্ট লঞ্চ ভেহিকেল। এটি ISRO-র তৈরি সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট। 

LVM-3 রকেটের 'বাহুবলী' নামে পরিচিত। LVM-3 একটি থ্রি-স্টেজ রকেট। এতে দু'টি সলিড-ফুয়েল বুস্টার এবং একটি তরল জ্বালানির কোর স্টেজ রয়েছে। সলিড-ফুয়েল বুস্টারের মাধ্যমে প্রাথমিক থ্রাস্ট প্রদান করা হয়। এরপর পেলোড কক্ষপথ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য তরল জ্বালানির কোর স্টেজ জ্বলে ওঠে। 

চন্দ্রযান-৩-এর মোট তিনটি অংশ বলা যেতে পারে। একটি হল মূল ল্যান্ডার মডিউল। আর তার সঙ্গে অ্যাডাপ্টার কোনের মাধ্যমে একটি প্রপালশন মডিউল এবং একটি রোভার সংযুক্ত।

Advertisement

ল্যান্ডার ও রোভারে বিভিন্ন সমীক্ষা চালানোর জন্য নির্দিষ্ট পেলোড থাকবে। 

২৩ অগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুত ২ মিটার লম্বা ল্যান্ডার সফ্ট ল্যান্ডিং করবে। ল্যান্ডার ও রোভার মডিল পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত। রোভার প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে।

এর আগে ২০২০ সালে ISRO সফলভাবে চাঁদের কক্ষপথে অরবিটার স্থাপন করেছিল। কিন্তু চন্দ্রযানের ল্যান্ডার এবং রোভার শেষ মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সফট ল্যান্ডিং সফল হয়নি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন চাঁদে সফলভাবে সফট ল্যান্ডিং করতে সক্ষম হয়েছে। 
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement